বঙ্গবন্ধুর খুনিদের জিয়া বলেছিলেন ‘গো অ্যাহেড’ : বিপ্লব বড়ুয়া

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বৈধতা দিতে সেদিন নেপথ্যের নায়ক জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করেছিলেন। তথ্য প্রযুক্তির কারণে অনেক তথ্য আমাদের সামনে চলে আসছে। খুনিরা ১৯৭৫ সালের ২০ মার্চ জিয়াউর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে খুনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল। সে সময় জিয়া বলেছিলেন ‘গো অ্যাহেড’।
সোমবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মোস্তাফিজুর রহমান কলেজ মাঠে এ সভার আয়োজন করে লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ।
বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, স্বাধীন বাংলার বয়স ৫০ বছর হয়েছে। এমন মুহূর্তে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সারা পৃথিবীতে উদযাপন হচ্ছে। একই সঙ্গে জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকীও উদযাপিত হচ্ছে। কারণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু অভিন্ন সত্ত্বা। বঙ্গবন্ধু কন্যা ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে ফিরে আসলে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে গিয়ে পিতা ও মাতার জন্য কোনো মিলাদ পড়তে দেওয়া হয়নি। সে বন্ধুবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আজকে জনগণের ভোটে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি, বিভিন্ন দিবসে বনানী কবরস্থানে যাই শ্রদ্ধা নিবেদন করতে। প্রতিটি কবরে আলাদা করে নামফলক আছে। কিন্তু ১৮টি কবরের কোনো সুনির্দিষ্ট চিহ্ন নেই। সেদিনের হত্যাকাণ্ডের পরে মরদেহের প্রতি কোনো ধর্মীয় রীতি, মর্যাদা অনুসরণ করেনি হত্যাকারীরা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বোয়ালখালী আসনের সাংসদ মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সাংসদ প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ।

ডিসি/এসআইকে/এসইউ