আওয়ামী লীগ মিছিল করছে কেন, প্রশ্ন মির্জা আব্বাসের

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মিছিল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ মিছিল করে কার কাছে কৈফিয়ত চাইবে? আমরা মিছিল করি, প্রতিবাদ করতে পারি, আমরা কৈফিয়ত চাইতে পারি সরকারের কাছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কার কাছে দাবি করবে, আমি জানতে চাই’।
দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক দোয়া মাহফিলে একথা বলেন তিনি।
এদিনই ঢাকাসহ সারাদেশে আওয়ামী লীগ ‘সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি শোভাযাত্রা’ করে। এই কর্মসূচি থেকে দেশবাসীকে সাম্প্রদায়িকতা রুখে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
দুর্গাপূজার মধ্যে কুমিল্লায় শুরু হয়ে কয়েকটি জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা হয়। তা ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এখন তারা যদি মিছিল নিয়ে রাস্তায় নামে, তাহলে কী দাঁড়ায়? মিছিল নিয়ে নয়, গদি ছেড়ে রাস্তায় নামেন। আমার এলাকায় (শাহজাহানপুর) ২৫ ভাগ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করেন। কেউ বলতে পারবে না যে এলাকায় কোনোদিন দাঙ্গা হয়েছে। আমি মির্জা আব্বাস ভারতে বাবরি মসজিদ ভাঙার সময়ে তাদের পাহারা দিয়েছি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে’।
সরকার নিজেদের নানা ব্যর্থতা আড়াল করতে সাম্প্রদায়িক সংঘাত ছড়াতে চাইছে বলে অভিযোগ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আজকে দ্রব্যমূল্য, গ্যাস, পানি, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে মানুষজন অসহ্য হয়ে গেছে, তাদের দৃষ্টি ফেরানোর জন্য, এই দেশটাকে উচ্ছন্নে নেওয়ার জন্য এরা (ক্ষমতাসীন) আজকে সমাজে দাঙ্গা সৃষ্টি করছে’।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের আসামি করে মামলা দেওয়ার সমালোচনাও করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিএনপির লোকদেরকে গ্রেফতর করছে, ইতোমধ্যে তিনশ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে ফেলেছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এ সমস্ত হামলা করে, মামলা করে, মোকাদ্দমা করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না’।
স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এই দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণের সভাপতি এস এম জিলানী, পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম। এতে বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদল নেতা গোলাম মাওলা শাহিন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রফিক হাওলাদার, আবুল কালাম আজাদ, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সাদরেজ জামান, ফখরুল ইসলাম রবিন বক্তব্য রাখেন।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ