আন্দোলনে ব্যর্থরা সিন্ডিকেট করছে কি না, খতিয়ে দেখা হবে : কাদের

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, দ্রব্যমূল্যের কারসাজির পেছনের সিন্ডিকেট ভাঙা হবে। বিএনপিকে ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেছেন, আন্দোলন করতে গিয়ে ব্যর্থ হওয়ারা সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে এই সিন্ডিকেট করছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।
আজ শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘সরকার এখানে অ্যাকশনে আছে কি না? কাজ করে যাচ্ছে, ফল একসময় আসবে। কাজে তো আন্তরিকতা, চেষ্টার কোনো রকম কমতি নেই’।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সারা বিশ্বের যে অবস্থা, বাজার পরিস্থিতি বিশ্বের কোথাও ভালো নেই। বিশ্বের সবকিছু আগের মতো সস্তা-সুলভ এটা মনে করার কারণ নেই। সারা বিশ্বেই বাজার পরিস্থিতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে। সারা বিশ্ব এখন একটা গ্লোবাল ভিলেজ। এখন বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে এর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার কোনো কারণ নেই’।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সরকার পরিবর্তন চাইলে সে জন্য আরেকটা নির্বাচনের অপেক্ষা করতে হবে। নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের ব্যবস্থা খোলা নেই। গণতন্ত্রে এটাই নিয়ম’।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা আরাম-আয়েশে ছুটি কাটাচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘তারা যে কর্মিবাহিনী মাঠে নামিয়েছিল—ক্ষমতা খুব সন্নিকটে—এমন আশা দিয়ে, সেই সব কর্মী এখন হতাশ। বিএনপির কর্মীরা নেতাদের ডাকে আন্দোলন করবে সেই অবস্থা নেই। এক কথায় বলব, বিএনপি এখন আন্দোলন করার সক্ষমতাও হারিয়ে ফেলছে’।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণ বিএনপির সঙ্গে নেই, আন্দোলনে নেই। শেখ হাসিনা সরকারের ওপর খুশি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আস্থাশীল। তাঁর সততা ও নেতৃত্ব এ দেশের মানুষ মেনে নিয়েছে। ’৭৫-এর পর দেশে সৎ, পরিশ্রমী, দক্ষ একজন নেতাও জন্ম হয়নি। কাজেই বাংলাদেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে’।
সিন্ডিকেট ভাঙা হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, ‘এর সঙ্গে কারা কারা জড়িত তা ক্ষতিয়ে দেখার বিষয় আছে। যারা আন্দোলন করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে, এই সিন্ডিকেট সরকার বিরোধিতা থেকে হচ্ছে কি না, ক্ষতিয়ে দেখতে হবে। পরিবহন চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য চেষ্টা চলছে। প্রশাসনিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবাই কাজ করে যাচ্ছে, যেন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়’।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ