রাঙামাটিতে কঠিন চীবর দানোৎসবে পুণ্যার্থীর ঢল

রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান কঠিন চীবর দানোৎসবে পুণ্যার্থীর ঢল নেমেছে।  ১ নভেম্বর থেকে প্রত্যেক দিন বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে আয়োজন করা হচ্ছে কঠিন চীবর দানোৎসব।  মাসব্যাপী এ ধর্মীয় উৎসব শেষ হবে আগামি ৩০ নভেম্বর।  এবার করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসবটি উদযাপিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।
রাঙামাটির বরকল উপজেলার সুবলং ইউনিয়নের বরুণাছড়ি বন বিহারে ধর্মীয় নানা আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গতকাল সোমবার শুরু হওয়া দুইদিনব্যাপী কঠিন চীবর দানোৎসব শেষ হয়েছে মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর)।  উৎসবে মহামতি গৌতম বুদ্ধের প্রধান সেবিকা মহাপুণ্যবতী বিশাখা প্রবর্তিত নিয়মে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা বের করে চীবর (বৌদ্ধভিক্ষুদের পরিধেয় বস্ত্র) তৈরি শেষে দানকার্য সম্পাদন করা হয়েছে।
এ ছাড়াও দু’দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ছিল বুদ্ধপূজা, বুদ্ধমূর্তি দান, সংঘদান, অষ্টপরিস্কার দান, সূত্রপাঠ, ধর্মীয় দেশনা, কল্পতরু শোভাযাত্রা, প্রদীপ পূজা ও ফানুস উত্তোলণ ইত্যাদি।
অনুষ্ঠানের শেষদিন দুপুরে বৌদ্ধরত্ন উপাধিপ্রাপ্ত বৌদ্ধধর্মীয় গুরু শ্রীমৎ নন্দপাল মহাস্থবিরকে ফুলের তোড়া দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দানোৎসব।  এরপর পরিবেশিত হয় ধর্মীয় উদ্বোধনী সঙ্গীত।  পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন বরুণাছড়ি বন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি বসুদেব চাকমা।  অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সজ্ঞান রঞ্জন চাকমা।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্রের পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুপক চাকমা।  এ ছাড়া বিশেষ প্রার্থনা পাঠ করেন টিপটিপ চাকমা ও ভিক্টোরিয়া চাকমা।  পুণ্যার্থীদের পক্ষে শ্রীমৎ নন্দপাল মহাস্থবির সমীপে সার্বজনীন চীবর তুলে দেন উদযাপন কমিটির সভাপতি মায়া রতন চাকমা।  পরে পুণ্যার্থীদের উদ্দেশ্যে ধর্মীয় দেশনা দেন বৌদ্ধরত্ন শ্রীমৎ নন্দপাল মহাস্থবির, বরুণাছড়ি বন বিহার অধ্যক্ষ কুলজ্যোতি ভিক্ষু, দীঘিনালা বন বিহারের আবাসিক সিনিয়র ভিক্ষু শুভবর্ধন মহাস্থবির, উপাধ্যক্ষ প্রিয়নন্দ মহাস্থবির, ধুতাঙ্গটিলা বন বিহারের অধ্যক্ষ দেবধাম্মা মহাস্থবির প্রমুখ।

ডিসি/এসআইকে/এমএ