শর্ত ভঙ্গ করলে ইসকনের সঙ্গে চুক্তি বাতিল হবে : প্রবর্তক সংঘ

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
প্রবর্তক সংঘের ভূমি ব্যবহারের শর্ত ভঙ্গ করলে ইসকনের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রবর্তক সংঘ পরিচালনা কমিটির নেতারা।  শনিবার (২০ মার্চ) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়তনে প্রবর্তক সংঘ-বাংলাদেশ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
লিখিত বক্তব্যে প্রবর্তক সংঘের সাধারণ সম্পাদক তিনকড়ি চক্রবর্তী বলেন, আধ্যাত্মিক পরিবেশ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দির নির্মাণের জন্য ইসকন এর সঙ্গে ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল চুক্তি হয়।  যার ফলশ্রুতিতে বর্তমান মন্দিরটি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।  মন্দিরটি সাধুনিবাস ও সমাধি মিলিয়ে মোট ১৬ হাজার ৩৭৬ বর্গফুট অর্থাৎ ১৮.৯৫ গন্ডা পাহাড় শীর্ষে জায়গার ওপর নির্মিত।  প্রবর্তকের ভূমির প্রাতিষ্ঠানিক এবং সামাজিক উন্নয়নে আরও অধিক গুরুত্ব দিয়ে সম্পদের সদ্ব্যবহার করার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।  এ জন্য কারো খেয়ালবশত এ সম্পত্তি যথেচ্ছ ব্যবহারে আমরা অনুমতি দিতে পারি না।
তিনি উল্লেখ করেন, চুক্তি মোতাবেক উক্ত জমি এবং সংশ্লিষ্ট সব স্থাপনার মালিকানা প্রবর্তকের কাছে সংরক্ষিত।  উভয়পক্ষের তিনজন করে মনোনীত ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির (সভাপতি এবং সম্পাদক ইসকনের) নিয়ন্ত্রণাধীনে ইসকন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এই মন্দিরের পূজা, অর্চনা, আরতি, প্রসাদ বিতরণ, ধর্মসভা, উৎসবাদি অনুষ্ঠান করবে।  কিন্তু নির্ধারিত স্থান, স্থাপনা এবং অনুমোদিত যাতায়াতের পথে কোথাও কোনো মালিকানা দাবি করতে পারবে না।  প্রবর্তক কর্তৃপক্ষ মনে করেছিল ইসকন যথার্থ সততার সঙ্গে তাদের চুক্তির শর্তাদি পালন করবে।  দীর্ঘসময় অতিবাহিত হওয়ার পর তাদের ভিন্নরূপ পরিলক্ষিত হয়।  যা প্রবর্তক স্বার্থবিরোধী, সামাজিক ন্যায়নীতি বিরোধী এবং পেশিশক্তি প্রদর্শনের আধারস্বরূপ।
তিনি আরো বলেন, ইসকনের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করে ব্যর্থ হওয়ার পর তিন দফা চিঠি প্রেরণ করে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়া হয়।  গত এক মাস যাবৎ এই প্রয়াসে ব্যর্থ হয়ে পরিবেশগত সৌন্দর্য বৃদ্ধির প্রয়োজনে প্রবর্তকের জায়গায় নির্মিত ছোট নিরাপত্তা চৌকিটি সংস্কারের জন্য গত ১৪ মার্চ তিনজন শ্রমিক নিয়োজিত থাকাকালীন ইসকনের কয়েকজন এসে কাজে বাধা দেয়।  এসময় হামলায় আহত হন প্রবর্তকের কর্মচারীরা।  পাঁচলাইশ থানায় অভিযোগ না নেওয়ায় গত ১৬ মার্চ মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।  ইসকন কর্তৃপক্ষ বা তাদের মনোনীত কোনো ব্যক্তি কোনোভাবেই প্রবর্তক সংঘের স্বার্থবিরোধী এবং সম্পত্তির নিরাপত্তা বিঘ্ন করার মতো কোনো কাজে লিপ্ত থাকতে পারবে না।  এরূপ কোনো আচরণ বা কাজ পরিলক্ষিত হলে তাদের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি বাতিল করা যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংঘের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র লালা, সহ-সভাপতি প্রফেসর রনজিৎ কুমার দে, ট্রেজারার ডা. শ্রীপ্রকাশ বিশ্বাস, সদস্য অ্যাডভোকেট স্বভূ প্রসাদ দত্ত, ইন্দু নন্দন দত্ত, চন্দন ধর, প্রফেসর রনজিত ধর, ডা. বাবুল কান্তি সেন, রূপক ভট্টাচার্য্য, সুবোধ কুমার দত্ত, ইঞ্জিনিয়ার ঝুলন কান্তি দাশ, অ্যাডভোকেট অমর প্রসাদ ধর প্রমুখ।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর