গ্রেফতারকৃত আলেমদের মুক্তি দাবি হেফাজতের

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
সারাদেশে গ্রেফতারকৃত আলেমদের মুক্তি দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। শুক্রবার (১ অক্টোবর) বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘কত দিস্তা বাংলাদেশের ও তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশের শীর্ষ তিনে আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফী, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, মুফতি আব্দুস সালাম চাটগামী রহমতুল্লাহর জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল এ দাবি জানান তারা।
হেফাজত নেতারা বলেন, সরকার আমাদের অনুরোধে অনেক আলেম ওলামাকে মুক্তি দিয়েছে। এজন্য আমরা সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা অনুরোধ করবো যারা এখনো জেলার মধ্যে আছে তাদেরকে মুক্তি দেয়া হোক। আমরা আশা করব সরকার আমাদের অনুরোধ রক্ষা করবে।
লিখিত বক্তব্যে হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, যাদের স্মরণে আজকের এই আয়োজন তারা সকলেই ছিল আমার অত্যন্ত কাছের মানুষ। হেফাজত ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী ছিলেন বাংলাদেশের আলেম সমাজের অভিভাবক। তিনি নাস্তিক বাদী শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশের আলেম সমাজের মধ্যে বিশাল শূন্যতা তৈরি হয়েছে।
হেফাজতের সদ্যপ্রয়াত আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে হেফাজত আমীর বলেন, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী একজন প্রসিদ্ধ শাইখুল হাদিস, লেখক ও সংগঠক ছিলেন। তিনি হেফাজতের আন্দোলনের শুরু থেকে মাঠে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
এর জন্য তাকে জেল জুলুম সহ্য করতে হয়েছে। এতকিছুর পরেও তাকে কেউ নীতি থেকে সরাতে পারেনি। নানা অপবাদ দেয়া হয়েছে তার নামে।
হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম বলেন, হেফাজতে ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর প্রতিষ্ঠিত সংগঠন। তিনি যে উদ্দেশ্যে হেফাজতকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আমরা সে উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আন্তর্জাতিক মজলিসের তাহাফফুজে খতমে নবুওতেরও দীর্ঘসময় আমিরের দায়িত্ব পালন করেছেন আল্লামা আহমদ শফী। হেফাজত ও খতমে নবুওয়াত দুইটাই সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংগঠন এবং এর সাথে কোন রাজনৈতিক দলের কোনো সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই আমাদের কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই। আমাদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ নেই। আমরা কেবল অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে কাজ করে যেতে চাই। আল্লামা শাহ আহমদ শফীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা আমাদের ঈমানী দাবি আদায়ের জন্য কাজ করে যাবো।
দোয়া ও স্মরণ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- হেফাজতের সিনিয়র নায়েবে আমির আতাউল্লাহ হাফেজ্জি, নায়েবে আমির মাওলানা আবুল কালাম জামিয়া মোহাম্মদীয়া, যুগ্ম মহাসচিব সাজেদুর রহমান বি বাড়িয়া, মোবারক উল্লাহ জামিয়া ইউনুসিয়া, বেফাক মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, হেফাজত নেতা মুফতি হাবিবুর রহমান, মাহমুদুল হাসান ফতেহপুরী, আশরাফ আলী নিজামপুরী, আব্দুল আউয়াল ডিআইটি, মীর ইদ্রিস, নুরুল আফসার আজহারী, কেফায়েতুল্লাহ আজহারী উত্তরা, রশিদ আহমদ কিশোরগঞ্জ, মহিউদ্দিন রাব্বানী, মুসা বিন আজহার, মাওলানা ফয়সাল প্রমূখ।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর