গরু কেনার পর হাসিল না দিলেও কোরবানি আদায় হবে

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে কোরবানির পশু জবাই করতে হবে।  আল্লাহর কাছে (কোরবানির পশুর) মাংস, রক্ত পৌঁছে না, বরং আল্লাহর কাছে তোমাদের তাকওয়া (তথা একনিষ্ঠভাবে সম্পন্ন আমল) পৌঁছে’- (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৩৭)।  তাই আমাদেরকে কোরবানির মাসায়েলগুলো সহিহভাবে মানতে হবে।
বর্তমানে বিভিন্ন বাজারে ঘোষণা করে যে, বাজারের চাঁদা প্রদান না করলে কোরবানি সহিহ হবে না, কিংবা কোরবানীর অংশীদার হয়ে যাবে- এটা মিথ্যা কথা।  বাজারের চাঁদার সঙ্গে কোরবানি কোনো সম্পর্ক নেই।  তবে কোরবানির গরুর হাট থেকে ক্রয় করে হাসিলের জায়গায় বেপারীকে দিয়ে মিথ্যা বলিয়ে ধোকা প্রবঞ্চনা করা জায়েয হবে না।
যদি বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতা ক্রয়ের কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলে, তাহলে নির্ধারিত চাঁদা/হাসিল প্রদান করা উচিত।  হাসিল থেকে বাঁচার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নেয়া ঠিক নয়।  এ ক্ষেত্রে বাজার কমিটির দায়িত্ব হলো ক্রেতাদের ওপর বেশি চাঁদা চাপিয়ে না দেওয়া।  আর ক্রেতাদের উচিত মিথ্যার আশ্রয় না নিয়ে যথাসাধ্য চাঁদা প্রদানে সচেষ্ট থাকা।
হাসিলের নামে যে টাকা নেয়া হয়, সেটা পশুর হাটের ভাড়া।  হাট কর্তৃপক্ষের হক এটি; হাটের সুবিধা গ্রহণের বিনিময়ে এটা নেয়া হয়ে থাকে।  তাই এ টাকা পরিশোধ করা জরুরি।  তাই কেউ হাসিল না দিয়ে- পশু নিয়ে এলে, হাট কর্তৃপক্ষের হক নষ্ট করার কারণে গুনাহগার হবে।  তবে হাসিল না দিয়ে গরু ক্রয় করে নিয়ে আসলে কোরবানি নষ্ট হবে না।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ