জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ফুটবলারদের কদর নেই কাপ্তাইয়ে

মাহফুজ আলম, কাপ্তাই প্রতিনিধি >>>
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পুরস্কার পাওয়া কাপ্তাইয়ের সন্তান কিংবদন্তি সাবেক জাতীয় ফুটবলারদের মূল্যায়ন ও কদর নেই উপজেলার কোথাও।  স্হানীয় সচেতন মহল ও উদীয়মান খেলোয়াড়দের মধ্য থেকে অভিযোগ উঠেছে- অনিয়ম, অব্যবস্হাপনা, স্বজনপ্রীতি ও উদাসীনতার বেড়াজালে অপ্রত্যাশিতভাবে কাপ্তাইয়ের সুনামধন্য ৮টি ফুটবল ক্লাবের অপমৃত্যু ঘটেছে।  খেলার মাঠগুলোর বেহাল অবস্থা, দেড় যুগের ব্যবধানে ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ক্লাব/সংগঠনগুলোর প্রায় শতাধিক ফুটবল খেলোয়াড় ও সাংস্কৃতিক প্রতিভাভান কর্মীরা সংগঠকের অভাবে এবং পৃষ্ঠপোষকতা না পাওয়ায় অঙ্কুরেই ঝরে পড়ছে।
কাপ্তাইয়ের সুশীল সমাজ, সচেতন মহল ও নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়েরা মনে করেন ফুটবল জগতে বাংলাদেশের সুনাম অক্ষুন্ন রাখায় কাপ্তাইয়ের সন্তান কিংবদন্তী সাবেক জাতীয় ফুটবলার তথা বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম ও গোল্ডেন বয় খ্যাত সাহাজ উদ্দীন টিপুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কৃত করেছেন।  বিষয়টি বাংলাদেশ তথা কাপ্তাই ( রাঙামাটি) বাসীর জন্য গৌরবের।জানা গেছে, কাপ্তাইয়ের এক সময়কার খ্যাতিমান তরুণ সংঘ, সবুজ সংঘ, প্রগতি ক্লাব, অবকাশ ক্লাব, একতা সংঘ, ড্রাগন সংঘ, তিবরিজি ক্লাব, যুব সংঘ, এফআই ডিসি ক্লাব, জালালাবাদ ক্লাবসহ আরো অনেকগুলো ক্রীড়া সংগঠন বন্ধ রয়েছে।  ফলে নতুন প্রজন্মের উদীয়মান খেলোয়াড়দের প্রতিভার বিকাশ ঘটছে না প্রায় দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে।  এ ব্যাপারে প্রায় কয়েক মাস ধরে কাপ্তাই ৯৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীবৃন্দ আয়োজিত ফেসবুক ফুটবল লাইভ আড্ডা অনুষ্ঠানে মতামত ব্যক্ত করেন সংশ্লিষ্টরা।  কাপ্তাইয়ের সাবেক জাতীয় ফুটবলাররা কাপ্তাইয়ের অতিহ্যবাহী ফুটবলের স্বপ্নযাত্রা আবারো শুরু করতে চায় নতুন প্রজন্মের ফুটবলারদের নিয়ে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের দ্রুততম মানব খেতাব পেয়েছিলেন কাপ্তাইয়ের সন্তান সাহান উদ্দীন চৌধুরী।  আর কাপ্তাই উপজেলার সাবেক জাতীয় ফুটবলাররা হলেন আহসানুল হক ইনু, মারী, নন্দী লাল পান্না, সাহাব উদ্দিন আজাদ, এফআই কামাল, মীর মঞ্জু, সামসুউদ্দীন চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম, গোল্ডেন বয় খ্যাত সাহাজ উদ্দীন টিপু, নন্দী লাল লাতু, নিংছাই চৌধুরী, আসলাম খাঁন, আরমান আজিজ, বিপ্লব মারমা, বাচ্চু মিয়া, ছালে আহমেদ, আনোয়ার হোসেন হামিদ, জামাল উদ্দিন, সালাউদ্দীন, মং বাথুইসহ নাম না জানা আরো অনেকে রয়েছেন।
এব্যাপারে ক্রীড়া অঙ্গন নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান মফিজুল হক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান বলেন, অতীতের মতোই কাপ্তাইয়ের সনামধন্য ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ঐতিহ্য ফিরে আনতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ।  ভালো ক্রীড়ামোদি ও সংগঠনের সংগঠকদের মূল্যায়ন যথা- যথাযথভাবে করা হবে।  তবে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির করণে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার প্রয়োজনে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড কিছুটা সীমিত করা হয়েছে।  এছাড়াও এক ভিডিও বার্তায় তারা বলেন, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে বিভিন্ন টুর্ণামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে উপজেলা প্রশাসনের।

ডিসি/এসআইকে/এমএ