সেই মায়ার্স সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে আউট হয়েছেন মাত্র ৫ রানে

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
বাংলাদেশকে কী লজ্জাই না দিয়েছেন কাইল মায়ার্স! চট্টগ্রাম টেস্টে ৩৯৫ রানের লক্ষ্য টপকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের রূপকার তো তিনিই। অভিষেক টেস্টে হার না মানা ২১০ রানের ইনিংস খেলে ক্যারিবিয়ানদের এনে দিয়েছিলেন অবিশ্বাস্য জয়।  সেই মায়ার্স সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে আউট হয়েছেন মাত্র ৫ রান করে।
বলতে গেলে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশকে একাই হারিয়েছেন মায়ার্স।  চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে পঞ্চম দিনের একেবারে শেষভাবে দুর্দান্ত ডাবলে জয় নিশ্চিত করেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান।  স্বাভাবিকভাবেই ঢাকা টেস্টে তার ওপর ছিল বাড়তি নজর।  যদিও এবার তাকে কিছুই করতে দেয়নি বাংলাদেশ, আরও স্পষ্ট করে বললে আবু জায়েদ রাহী।
দ্বিতীয় টেস্টের একাদশে ফিরে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ডানহাতি পেসার তুলে নিয়েছেন মায়ার্সের গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি। সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পড়ার আগে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ১৮ বলে ১ বাউন্ডারিতে করেন ৫ রান।
মায়ার্সকে ফিরিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চেপে ধরেছে বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে খারাপ সময় গেলেও লাঞ্চ থেকে ফিরে এসে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে স্বাগতিকরা।  এই রাহীর শিকার হয়েই ফিরেছেন শেন মোসেলি (৭)। খানিক পর উইকেট উদযাপনে যোগ দেন সৌম্য। সাদমান ইসলামের চোটে একাদশে জায়গা পাওয়া এই অলরাউন্ডার তুলে নেন ক্রেগ ব্র্যাটওয়েটের উইকেট।  ফেরার আগে ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ১২২ বলে ৪ বাউন্ডারিতে করেন ৪৭ রান।
দ্বিতীয় সেশনটা তাই বাংলাদেশের।  এই সেশনে স্বাগতিকদের প্রাপ্তি ৩ উইকেট।  চা বিরতির সময় প্র্রথম ইনিংসে ব্যাট করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ছিল ৫৮ ওভারে ৪ উইকেটে ১৪৬ রান।
প্রায় একবছর পর লাল বলে উইকেট রাহীর
সাম্প্রতিক সময়ে টেস্টে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল পেসার তিনি।  তবুও তাকে বসিয়ে চট্টগ্রাম টেস্টে এক পেসার নিয়ে সাজানো একাদশে নেওয়া হয়েছিল মোস্তাফিজুর রহমানকে।  বাঁহাতি পেসার সুবিধা করতে না পারায় টিম ম্যানেজমেন্ট আবারও ফিরেছে পুরনো আস্থায়। একাদশে ফিরিয়েছে আবু জায়েদ রাহীকে।  প্রায় একবছর পর লাল বলের ক্রিকেটে ফেরা উইকেট উদযাপনে রাঙিয়েছেন ডানহাতি পেসার।
সাফল্যময় বোলিংয়ে টেস্টের প্রথম পছন্দের পেসার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন রাহী।  ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষ চট্টগ্রাম টেস্টে তিনি না থাকায় সমালোচনা তৈরি হয়, সেটা আরও বাড়ে মোস্তাফিজের নিষ্প্রভ বোলিংয়ে। তাই ঢাকা টেস্টের একাদশে রাহীর থাকা একরকম নিশ্চিতই হয়ে যায়।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে শেষবার লাল বলের ক্রিকেটে খেলেছেন এই পেসার।  ২২ ফেব্রুয়ারি সিলেটে শুরু হওয়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওই টেস্টের প্রথম ইনিংসে রাহী নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য উইকেটশূন্য ছিলেন।  করোনাভাইরাসের লম্বা বিরতি শেষে লাল বলের ক্রিকেটে ফিরে পেয়েছেন উইকেট।
অবশ্য ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে প্রথম উইকেটের জন্য বেশ অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে তাকে।  প্রায় একবছর পর উইকেট উদযাপন তিনি করতে পেরেছেন লাঞ্চ থেকে ঘুরে এসে।  রাহীর শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন শেন মোসেলি।  বোল্ড হয়ে ফেরা ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান ৩৮ বলে ১ বাউন্ডারিতে করেন ৭ রান।
ভালো কাটলো না প্রথম সেশন
চট্টগ্রাম টেস্ট যেখানে শেষ হয়েছিল, ঢাকা টেস্টের শুরুটাও কি সেখান থেকেই হলো?  জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ম্যাচের পঞ্চম দিনে বাংলাদেশের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।  ঢাকার টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশনেও ক্যারিবিয়ানদের দাপট।  লাঞ্চ বিরতির আগে বাংলাদেশ নিতে পেরেছে কেবল ১ উইকেট।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দারুণ শুরুর প্রত্যাশা ছিল টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামা বাংলাদেশের।  কিন্তু তা হয়নি। প্রথম উইকেটে জন্য লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে।  লাঞ্চ বিরতির আগে একমাত্র সাফল্য পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম।
ওপেনার জন ক্যাম্পবেলকে হারানো ক্যারিবিয়ানদের প্রথম সেশন শেষে স্কোর ছিল ২৯ ওভারে ১ উইকেটে ৮৪।

ডিসি/এসআইকে/এমএস