টেস্টে মুশফিক-মিঠুনের বিদায়ে বিপদে বাংলাদেশ

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
ঢাকা টেস্ট জিততে ২৩১ রানের লক্ষ্যে দারুণ সূচনা করেছিল বাংলাদেশ।  ওপেনিং জুটিতেই এসেছিল ৫৯ রান। সেখান থেকে ১১৫ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা।  ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে জয়ের জন্য এখনও প্রয়োজন ১১৬ রান।  ক্রিজে আছেন অধিনায়ক মুমিনুল (১৭) ও লিটন (২)।
দুই ওপেনারের মধ্যে তামিম খেলছিলেন হাত খুলে। সৌম্য ছিলেন ধীরস্থির।  ১৩তম ওভারে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের বলেই তালুবন্দি হয়ে ফিরেছেন তিনি।  ওভার পিচড বল কাট করতে গিয়েছিলেন।  কিন্তু বল ব্যাটের কানায় লেগে কিপারের গ্লাভস ছুঁয়ে উঠে যায় ওপরে।  প্রথম স্লিপ থেকে সেই ক্যাচ নিয়ে নেন ব্র্যাথওয়েট।  অবশ্য শুরুতে আম্পায়ার সৌম্যকে আউট দেননি।  ক্যারিবীয়রা রিভিউ নিলে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি।  বামহাতি ব্যাটসম্যান ফিরেছেন ১৩ রান করে।
অথচ জয়ের লক্ষ্যে ভরসাও দিচ্ছিল এই ওপেনিং জুটি।  কারণ ১৪ ইনিংস পর বাংলাদেশ দেখলো ৫০ রানের পার্টনারশিপ।
সৌম্যর বিদায়ের পরেও তামিম খেলছিলেন স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে।  কিন্তু ২৮তম টেস্ট হাফসেঞ্চুরি তুলে বিদায় নিয়েছেন অভিজ্ঞ এই ওপেনারও।  খণ্ডকালীন স্পিনার ব্র্যাথওয়েটের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে শর্ট কাভারে ক্যাচ তুলে দেন মোসেলির হাতে!  তামিম ফিরেছেন ৫০ রানে।
ওপেনিং জুটি ভাঙার পর হতাশ করেন নাজমুল শান্ত।  দ্বিতীয় সেশনের শেষ বলে কর্নওয়ালের ঘূর্ণিতে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে তিনি বিদায় নেন ১১ রানে।
এর পরেই চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। মুশফিক-মুমিনুল মিলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছিল ঠিকই।  কিন্তু দলীয় সংগ্রহ ১০০ পার হওয়ার পরই ওয়ারিকানের বলে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন মুশফিক।  অথচ মুশফিক রিভিউ নিয়েছিলেন এই আশায় যে বল তার ব্যাটে লাগেনি।  কিন্তু মুশফিক নিজেও বিশ্বাস করতে পারেননি বল ব্যাটে লেগেছে তার! মুশফিক ফেরেন ১৪ রানে।  এরপর বাংলাদেশের বিপদ আরও বাড়িয়ে দিয়ে যান মিঠুন। ১০ রান করে কর্নওয়ালের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি!
এর আগে চতুর্থ দিন সকালে ৪১ রান ও হাতে সাত উইকেট নিয়ে চতুর্থদিন সকালে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।  দিনের শুরুতেই সাফল্য এনে দেন আবু জায়েদ।  ৬ উইকেটে ৯৮ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় সফরকারীরা।  লাঞ্চ থেকে ফিরে দ্রুত চার উইকেট হারিয়ে ১১৭ রানে থামতে হয়েছে ব্র্যাথওয়েটের দলকে।  সবমিলিয়ে জয়ের জন্য ২৩১ রানের লক্ষ্য পায় স্বাগতিকরা।

ডিসি/এসআইকে/এমএস