৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে টেস্ট হেরেছে বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
ম্যাচের ফলাফল কি হবে তা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল চতুর্থ দিন শেষেই। পঞ্চম দিন সকালে সেটার শুধু আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হল। স্বাগতিক বাংলাদেশকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান।
জয়ের জন্য শেষ দিন পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৯৩ রান। যা পেড়িয়ে যেতে বাবর আজমের দলকে তেমন কষ্টই করতে হয়নি। মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় পাকিস্তান।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। তবে দুই ইনিংস মিলিয়ে কোনোটিতেই ব্যাটাররা নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি।
টাইগারদের দুই ইনিংসেই ব্যাট হাতে যা লড়াই করেছেন লিটন দাস। প্রথম ইনিংসে তাকে সঙ্গ দিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। খেলেছিলেন ৯১ রানের ইনিংস। সঙ্গে লিটনের ১১৪ রানে ভর করে ৩৩০ রান করেছিল বাংলাদেশ। হাসান আলি একাই শিকার করেছিলেন ৫ উইকেট।
জবাবে পাকিস্তানের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। আবিদ আলীর সেঞ্চুরি (১৩৩) ও আবদুল্লাহ শফিকের হাফ সেঞ্চুরিতে (৫২) ভর করে বড় লিডের স্বপ্ন দেখছিল তারা। তবে তাইজুল ইসলামের বীরত্বে ২৮৬ রানে অল আউট হয়ে যায় বাবর আজমের দল। স্বাগতিকরা লিড পায় ৪৪ রানের। পিচ হিসেবে ভালো লিড পেলেও তা আবারো কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। আবারো টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় দলের হাল ধরেন লিটন। অন্যদের ব্যর্থতায় তার ৫৯ রানের ইনিংসটি দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে যথেষ্ট ছিল না।
মাত্র ৪ রানে শেষ চার উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রানে অল আউট হয় টাইগাররা। যেখানে সফরকারী দলের নায়ক ছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। এবার তিনি নেন ৫ উইকেট। সবমিলিয়ে পাকিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০২ রান।
চতুর্থ দিনেই বিনা উইকেটে ১০৯ রান করে ম্যাচ জয়ের কাজ প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছিল পাকিস্তান। পঞ্চম দিন সকালে সেই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন আজহার আলি ও বাবর আজম। দুজনে অপরাআজিত থাকেন যথাক্রমে ২৪ ও ১৩ রানে।
এর আগে আবিদ ৯১ ও আবদুল্লাহ ৭৩ রানে আউট হন। এই দুজনকে সাজঘরে ফেরান তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। যা শুধু বাংলাদেশের পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছে।
এই জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্গত সিরিজটির পরবর্তী ম্যাচ শুরু হবে আগামী ৪ ডিসেম্বর। ভেন্যু মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ