খুলনাকে হারিয়ে শীর্ষে চট্টগ্রাম

ক্রীড়া ডেস্ক

বিপিএলের পয়েন্ট তালিকায় ইঁদুর-বিড়াল খেলা চলছে। এক নম্বর জায়গাটি দখলে নিতে লড়ছে কয়েকটি দল। একবার শীর্ষে ওঠে গিয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। পরে তাদের কাছ থেকে জায়গা কেড়ে নেয় রাজশাহী রয়্যালস। সেখান থেকে আবার সেরার লড়াইয়ে সবার ওপরে চলে আসে ঢাকা প্লাটুন।

শনিবার (৪ জানুয়ারি)) খুলনা টাইগার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ফের শীর্ষস্থান ফেরত পেয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট এখন ইমরুল কায়েসের দলের। দ্বিতীয় অবস্থানে নেমে যাওয়া ঢাকার ৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট রাজশাহীরও।

১২২ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই চট্টগ্রামকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যান লেন্ডল সিমন্স আর জুনায়েদ সিদ্দিকী। প্রথম ১০ ওভার অনায়াসেই কাটিয়ে দেন তারা, রান ওঠে ৬৯।

২৮ বলে ৩৬ রান করা সিমন্সকে ফিরতি ক্যাচ বানিয়ে এই জুটিটি ভাঙেন আলিস আল ইসলাম। পরের ওভারে আরেক সেট ব্যাটসম্যান জুনায়েদকেও (৩৯ বলে ৩৮) একইরকম ফিরতি ক্যাচ বানান মেহেদী হাসান মিরাজ।

এরপর দাঁড়াতে পারেননি দাসুন গুনারত্নে (০) আর চ্যাডউইক ওয়ালটন (৭)। তবে লক্ষ্য ছোট বলে উইকেট হারিয়েও তেমন চিন্তাও পড়েনি চট্টগ্রাম। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস বাকি পথটা সহজেই পারি দিয়েছেন নুরুল হাসান সোহানকে সঙ্গী করে। ২৭ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন ইমরুল, ৬ বলে ৭ রানে সোহান।

এর আগে রুবেল হোসেন এবং মেহেদী হাসান রানার আগুনে বোলিংয়ের সামনে মাত্র ১২১ রানেই অলআউট হয়ে যায় মুশফিকুর রহীমের খুলনা টাইগার্স।

টস জিতে খুলনাকে ব্যাট করতে পাঠান চট্টগ্রামের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মেহেদী হাসান রানার তোপের মুখে পড়ে খুলনা। ১৩ রান তুলতেই দুই ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ এবং হাশিম আমলাকে ফিরিয়ে দেন। হাশিম আমলা মাত্র ৮ রান করে বোল্ড হয়ে যান মেহেদী রানার বলে।

রুবেল হোসেনের বলে শূন্য রানেই ফিরে যান শামসুর রহমান শুভ। ১৪ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে খেই হারিয়ে ফেলে খুলনা। এরপর রুখে দাঁড়ানোর চেস্টা করেন রাইলি রুশো। ৪০ বলে তিনি করেন ৪৮ রান। মুশফিকুর রহীম এবং রুশো মিলে গড়েন ৪৯ রানের জুটি। ২৯ রানে জিয়াউর রহমানের বলে বোল্ড হয়ে যান মুশফিক।

রবি ফ্রাইলিংক করেন ১৭ রান। এরপর আমের ইয়ামিন, আলাউদ্দিন বাবু, তানভির ইসলাম এবং অ্যালিস আল ইসলাম দ্রুত ফিরে যান সাজঘরে। শফিউল ইসলাম অপরাজিত থাকেন ৩ রান করে।

চট্টগ্রামের পক্ষে রুবেল হোসেন এবং মেহেদী হাসান রানা নেন ৩টি করে উইকেট। কেসরিক উইলিয়ামস ২ এবং ১ উইকেট নেন জিয়াউর রহমান।

 

ডিসি/এসআইকে/খেডে