আবারও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
নাসার স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। চ্যালেঞ্জের ১০টি ক্যাটাগরির মধ্যে ‘বেস্ট মিশন কনসেপ্ট’ ক্যাটাগরিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে খুলনার দল ‘মহাকাশ’।
অন্যান্য ক্যাটাগরির মধ্যে ‘বেস্ট ইউজ অব সায়েন্স’ ক্যাটাগরিতে তাইওয়ান, ‘বেস্ট ইউজ অব ডাটা’ ক্যাটাগরিতে ইংল্যান্ড, ‘বেস্ট ইউজ অব টেকনোলজি’ ক্যাটাগরিতে মালয়েশিয়া, ‘গ্যালাকটিক ইম্প্যাক্ট’ ক্যাটাগরিতে যুক্তরাষ্ট্র, ‘মোস্ট ইন্সপায়রেশনাল’ ক্যাটাগরিতে পানামা, ‘বেস্ট স্টোরিটেলিং’ ক্যাটাগরিতে ইকুয়েডর, ‘গ্লোবাল কানেকশন’ ক্যাটাগরিতে মরক্কো, ‘আর্ট অ্যান্ড টেকনোলজি’ ক্যাটাগরিতে যুক্তরাষ্ট্র এবং ‘লোকাল ইম্প্যাক্ট’ ক্যাটাগরিতে অস্ট্রেলিয়া বিজয়ী হয়েছে।
নাসার স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশে পর্ব আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ বছরের প্রতিযোগিতায় ১৬২টি দেশের ৪ হাজার ৫৩৪টি দল অংশ নেয়। এদের মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের ২৭টি প্রকল্প অংশ নিয়েছিল। চূড়ান্ত পর্বে একটি ক্যাটাগরিতে বিশ্ব সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করলো বাংলাদেশ।
আরও জানানো হয়েছে, টিম ‘মহাকাশের’ উদ্ভাবিত টুলসের নাম অ্যাডভান্সড রেগলিথ স্যাম্পলার সিসটেম বা এআরএসএস। টুলসটি মহাকাশচারীরা ভিনগ্রহের পৃষ্ঠে অভিযানের সময় মুক্তভাবে সেখানে যে ধুলিকণা ওড়ে তা নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে। কেননা চাঁদে আগের অভিযানগুলোতে মহাকাশচারীরা পৃষ্ঠতলে উপস্থিত ধূলিকণার মধ্যে কাজ করতে সমস্যার সম্মুখীন হয় বলে জানিয়ে আসছিলেন। কম গ্রাভিটিতে মূলত ধূলিকণাগুলো সহজেই উৎক্ষিপ্ত হয়ে ভাসতে থাকে, ফলে নমুনা সংগ্রহ করতে কষ্ট হতো মহাকাশচারীদের, একই সাথে মহাজাগতিক রেডিয়েশানের কারণে আয়নিত হওয়ায় তা স্পেসস্যুট- এর গায়ে লেগে থেকে স্যুট ড্যামেজ করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতো। টিম মহাকাশ এই সমস্যার কার্যকর একটি সমাধান বের করে একটি টুলসেট উদ্ভাবন করে যেটি এই ধুলিকণাগুলোকে আবদ্ধ চেম্বারে আটকে ফেলে এবং ধুলিকণাগুলোকে ভেসে থাকার মত পরিস্থিতি তৈরি করতে দেয় না।
টিম মহাকাশ এবং বেসিসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেছেন, ‘এ অর্জন ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার আরেকটি অনন্য দৃষ্টান্ত।’
বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেছেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে যাত্রা অব্যাহত রেখেছি, এ অর্জন আমাদের প্রচেষ্টার পথে আরেকটি বড় মাইলফলক।
প্রসঙ্গত, এবারের আসরে বাংলাদেশ থেকে আট শতাধিক প্রকল্প জমা পড়েছিল। অসম্পূর্ণ প্রকল্প বাতিল করার পর যাচাই— বাছাই শেষে ১২৫টি প্রকল্পের প্রতিনিধিরা ৪৮ ঘণ্টাব্যাপী হ্যাকাথনে অংশ নেয় এবং সেরা ২৭টি প্রকল্প নাসার জন্য বাংলাদেশ থেকে মনোনীত করা হয়।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ