‘অস্বাভাবিক কিছু’ ঘটছে মহাবিশ্বে ?

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের একের পর এক রহস্য উন্মোচন করে চলেছে শক্তিশালী যন্ত্র হাবল টেলিস্কোপ।  মহাবিস্ফোরণের (বিগ ব্যাং) মাধ্যমে সৃষ্টির পর থেকেই প্রতিনিয়ত প্রসারিত হচ্ছে মহাবিশ্ব।  নানা গবেষণায় সম্প্রসারণের গতিবেগ সম্পর্কেও ধারণা দেন তারা।  হাবল স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে তারা মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের এই গতিবেগ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন।
সম্প্রতি ‘অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটারস’ এ বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।  নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের দাবি, হাবল স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে তারা মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের এই গতিবেগ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মহাবিস্ফোরণের (বিগ ব্যাং) মাধ্যমে সৃষ্টির পর থেকেই প্রতিনিয়ত প্রসারিত হচ্ছে মহাবিশ্ব।  নানা গবেষণায় সম্প্রসারণের গতিবেগ সম্পর্কেও ধারণা দেন তারা।  সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, বিজ্ঞানীদের অনুমানের চেয়ে প্রায় ৯ শতাংশ বেশি দ্রুতগতিতে প্রসারিত হচ্ছে মহাবিশ্ব।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির পদার্থ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী অ্যাডাম রেইসের নেতৃত্বে গবেষক দল পৃথিবীর কাছের ছায়াপথের ৭০টি নক্ষত্রের ওপর গবেষণা চালায়।  তারা নক্ষত্রগুলোর বিচ্ছুরিত আলো, উজ্জ্বলতা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেন।
২০২০ সালে এডউইন পি হাবল এবং জর্জেস লেমাইত্রে বলেছিলেন আমাদের নিজেদের বাইরের ছায়াপথগুলো স্থির নয়।  আর নাসার এক ব্লগ পোস্টে বলা হয়েছিল, ছায়াপথগুলো আমাদের থেকে ক্রমশ দূরে সড়ে যাচ্ছে।  টেলিস্কোপ হাবল কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান একেকটি নক্ষত্রকে ৯০ মিনিট করে পর্যবেক্ষণ ও বিভিন্ন সময়ের ছবি তুলে রাখে।
গবেষণায় পাওয়া তথ্যকে প্রায় নির্ভুল বলে উল্লেখ করেছেন অধ্যাপক রেইস। পাশাপাশি মহাকাশ নিয়ে গবেষণায় আরও নতুন নতুন পদ্ধতি অবলম্বনের প্রতি গুরুত্ব দেন তিনি।  তার মতে, অত্যাধুনিক তত্ত্ব ও যন্ত্রের ব্যবহারে মহাবিশ্ব সম্পর্কে আরও বেশি জানা সম্ভব হবে।
হাবল টেলিস্কোপ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উপর ভাসমান অবস্থায় মহাকাশের নির্ভেজাল দৃশ্য পর্যবেক্ষণ করছে।  এমন কিছু ঘটনা সেটির চোখে পড়ছে, যা পৃথিবী থেকে দেখা অসম্ভব।  মহাকাশের এই চোখ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের লুকানো সৌন্দর্য আমাদের চোখের নাগালে নিয়ে এসেছে এবং আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ