ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাত পশ্চিমবঙ্গে, বাংলাদেশে নাকি মিয়ানমারে?

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
ধেয়ে আসছে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়। দেয়া হয়েছে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত।  তবে এই ঘূর্ণিঝড়টি কোথায় আঘাত হানবে- এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।  আজ রবিবার (১৭ মে) বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ’আম্ফান’ সামান্য উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর এখনই বলতে পারছে না যে, এই ঘূর্ণিঝড় কোথায় সরাসরি আঘাত হানবে-বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ নাকি মিয়ানমারে।  তবে আবহাওয়াবিদ মো. আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশে সরাসরি আঘাত হানবে- আমাদের বুলেটিনে ওইভাবে বলিনি।  এখনও ওইভাবে বলার সময় আসে নাই। অনেক দূরে আছে’।
তবে সকালে আবহাওয়া অধিদফতর তাদের বিশেষ বুলেটিনে জানিয়েছিল, দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি সবচেয়ে বেশি পটুয়াখালী জেলায় অবস্থিত পায়রা সমুদ্রবন্দরের কাছাকাছি অবস্থান করছে।  তারপরে ঘূর্ণিঝড়ের কাছাকাছি অবস্থান করা সমুদ্রবন্দর হচ্ছে বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্রবন্দর।  অর্থাৎ এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি দক্ষিণাঞ্চলের পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা অঞ্চল দিয়ে আঘাত হানার সম্ভাবনা বেশি।  এজন্য উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে এবং সেই সঙ্গে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, আজ রবিবার সকাল ৬ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান।  এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ইতোমধ্যে সমুদ্রবন্দরগুলোতে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।  এর অর্থ হলো সমুদ্রবন্দর ঘূর্ণিঝড়-কবলিত।  বাতাসের সম্ভাব্য গতিবেগ ঘণ্টায় ৫১ থেকে ৬১ কিলোমিটার।  তবে ঘূর্ণিঝড়ের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়ার মতো তেমন বিপজ্জনক সময় এখনও আসেনি।  এদিকে, রবিবার সকালের তথ্যানুযায়ী ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।  ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ