বান্দরবানে বন্যা ও পাহাড় ধসের আশঙ্কা

বান্দরবান প্রতিনিধি >>>
বান্দরবানে দুই দিনের অবিরাম টানা বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে।  বৃষ্টির কারণে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে।  দুইদিনের ভারী বৃষ্টিতে জেলার সাংগু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।  ফলে নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।  ভারী বর্ষণে বান্দরবানের লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ইতোমধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে।  প্রবল বৃষ্টিতে কোথাও কোথাও সড়ক ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে।  বান্দরবানে একদিকে করোনার সংক্রামক বৃদ্ধি আর অন্যদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় চলছে লকডাউন তার উপর ভারী বৃষ্টিতে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ।
বান্দরবান বাজারের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, গত ১৮ মার্চ থেকে বান্দরবানে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে এর পরে আবার বান্দরবানকে লকডাউন করা হয়েছে, গেল দুইদিন ধরে বান্দরবানে প্রবল বৃষ্টি আর বর্ষণে আমাদের জীবনে অনেক কষ্ট নেমে এসেছে।  গেল দুইদিন থেকে বান্দরবানে প্রবল বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।  বৃষ্টিতে আমরা কোনো কাজ করতে পারছি না, বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা থাকায় আমরা আতংকে রয়েছি।
এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে বান্দরবানের পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং করেছে প্রশাসন, খোলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র।  পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে আহবান জানায় পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী বলেন, কয়েকদিন টানা বৃষ্টি বান্দরবানে অব্যাহত রয়েছে, বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে, তবে আমরা মাইকিং করে জনগণকে সচেতন করছি এবং নিরাপদে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।  তিনি আরো জানান, আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচিত করে সেখানে জনসাধারণকে এই দু:সময়ে আশ্রয় দিতে কাউন্সিলরদের নির্দেশনা দিয়েছি।  বান্দরবান জেলা সদরসহ সাত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে প্রায় কয়েক হাজার পরিবার।

ডিসি/এসআইকে/এসপিআর