ক্ষণিকের সূর্যগ্রহণ দেখলো বাংলাদেশ

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
চলতি বছরের প্রথম বলয় গ্রাস সূর্যগ্রহণ হচ্ছে আজ রবিবার (২১ জুন)। বাংলাদেশ থেকে এই গ্রহণ পূর্ণ দেখা না গেলেও বিশ্বের বহু দেশ থেকে ‘রিং অব ফায়ার’ দেখা গেছে।  বাংলাদেশ থেকে আংশিক গ্রহণ দেখা যাবে।  বাংলাদেশে গ্রহণ শুরু হয়েছিল বেলা ১১টা ২৩ মিনিটে।  কিন্তু মেঘের কারণে আকাশ পরিষ্কার না থাকায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর কর্তৃপক্ষ খুব অল্প সময়ের জন্য এই গ্রহণ দেখতে পায়।
বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের কিউরেটর (প্রযুক্তি) সুকল্যাণ বাছাড় বলেন, ‘এমনিতেই বাংলাদেশ থেকে রিং অব ফায়ার দেখা যাওয়ার কথা নয়।  আংশিক গ্রহণ দেখা যাওয়ার কথা।  বেলা ১১টা ২৩ মিনিটে বাংলাদেশে এই গ্রহণ শুরু হলেও মেঘের কারণে প্রথম দিকে একেবারেই দেখা যায়নি।  ১২ টার পর আমরা সোলার ফিল্টারের মাধ্যমে খুবই অল্প সময়ে দেখেছি’।
তিনি জানান, জাদুঘরের ছাদে সোলার ফিল্টার বসানো টেলিস্কোপের মাধ্যমে কয়েকজন কর্মকর্তা সূর্যগ্রহণ দেখেছেন।  আগে তো আমরা ক্যাম্প করে সাধারণ মানুষদের দেখার ব্যবস্থা করে দিতাম।  আমাদের মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান আসতেন।  করোনার কারণে এবার সব কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে জ্যোতির্বিদ এফ আর সরকার জানান, গ্রহণের শুরু থেকেই আকাশে মেঘ থাকায় বেশিরভাগই গ্রহণ দেখতে পারেনি।  তবে গ্রহণের শেষের দিকে এসে অর্থাৎ ২ টার পর আকাশ পরিষ্কার হয়ে সূর্য ওঠে।  ঝকঝকে সূর্যের আলোতে গ্রহণ দেখা কঠিন হলেও অনেকেই সোলার ফিল্টার, পুরনো এক্স-রে দিয়ে সূর্যগ্রহণ দেখেছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে সূর্যগ্রহণ শুরু হয় রবিবার সকাল ৯টা ৪৬ মিনিটে।  প্রথম দেখা যায় কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের ইম্পফোন্ডো শহরে।  এরপর সকাল ১০টা ৪৮ মিনিটে কেন্দ্রীয় গ্রহণ শুরু হয়।  সেটি দেখা যায় কঙ্গোর বোমা শহর থেকে।  সর্বোচ্চ গ্রহণ দেখা যায় ভারতের যোশিমঠ শহর থেকে বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে।  এখন কেন্দ্রীয় গ্রহণও শেষ।  এটি দেখা গেছে ফিলিপাইনের সামার শহর থেকে দুপুর ২টা ৩১ মিনিটে আর গ্রহণ শেষ হবে ফিলিপাইনের মিন্দানাও শহরে বেলা ৩টায় ৩৪ মিনিটে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, ঢাকায় এই গ্রহণ শুরু হয় বেলা ১১টা ২৩ মিনিটে, পূর্ণ গ্রহণ দেখা যাওয়ার কথা ১টা ১২ মিনিটে, কিন্তু আকাশ পরিষ্কার না থাকায় সেই গ্রহণ কেউই দেখতে পারেনি।  তবে গ্রহণের শেষের দিকে আকাশ পরিষ্কার হয়ে আসায় অনেকেই ক্ষণিকের জন্য গ্রহণ দেখেন।

ডিসি/এসআইকে/এমএস