দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
সাগরের ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব শেষে ঊর্ধ্বাকাশের মেঘ কেটে যাওয়ায় তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে বাংলাদেশে। শনিবার (২৮ নভেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। অন্যদিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পর্যটন জেলা কক্সবাজারে। সেখানে ৩২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা আরও ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। উত্তরাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে; দক্ষিণাঞ্চলে সামান্য বাড়তে পারে। অন্যদিকে রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামি দু’তিন দিন শীতের অনুভূতি বাড়বে। এরপর ফের তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। তারপরে আসবে পুরোদমে শীত। ডিসেম্বরের দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানান আবহাওয়াবিদরা।
ঘূর্ণিঝড় নিভারের পর আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে যাচ্ছে বঙ্গোপসাগরে। জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান জানান, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ ও গভীর নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তবে এর প্রভাব আমাদের এখানে পড়বে না; আন্দামান এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের এ শঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়ার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। ভোরের দিকে দেশের নদ-নদী অববাহিকায় কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
ডিসি/এসআইকে/এমএসএ