বান্দরবান প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
বান্দরবানে টানা ৭২ ঘণ্টার ভারি বর্ষণে বান্দরবানের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ। সোমবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয় এ বর্ষণ। সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রতি মুহূর্তে তলিয়ে যাচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। তলিয়ে গেছে লামা-আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার অধিকাংশ ঘরবাড়িও
সরেজমিনে দেখা গেছে, বান্দরবান পৌরসভার মেম্বারপাড়া, হাফেজঘোনা, শেরে-বাংলা নগর, বনানী সমিল এলাকা, ইসলামপুর, কালাঘাটার ড্রাইভার পাড়া, ক্যাচিংঘাটাসহ শহরের নিমম্নাঞ্চলের প্রায় সব ঘরবাড়ি পানির নিচে চলে গেছে। এছাড়া পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লামা-আলীকদমের লাইনঝিরি, শিলেরতুয়া, সিবাতলী, দরদরাঝিরি, রুমা, থানচি এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ।
মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার উপরে। তলিয়ে গেছে বান্দরবান শহর, লামা-আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার অধিকাংশ ঘরবাড়ি
আরো দেখা গেছে, বান্দরবান শহরের নিম্নাঞ্চল ও লামা-আলীকদমের অবস্থা দিনদিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। সড়কে পানি ওঠায় ভোগান্তিতে পড়েছে স্বাস্থ্যকর্মী, গণমাধ্যম কর্মী জরুরি পরিবহন। সড়ক ডুবে যাওয়ায় সবাইকে চলাচল করতে হচ্ছে নৌকায়। এছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে ছোটখাটো পাহাড় ধসের ঘটনাও ঘটেছে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, জেলায় ১৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। টানা বর্ষণ ও পানি বৃদ্ধির কারণে ক্ষতিগ্রস্তরা এসব কেন্দ্রে আশ্রয় নিচ্ছে। এছাড়া সব উপজেলায় স্কুল-কলেজ খুলে ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয় দিতে ইউএনওদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
ডিসি/এসআইকে/এসইউপি