চট্টগ্রাম নগরে কালবৈশাখী ঝড়, স্বস্তি বৃষ্টিতে

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
গত কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহের পর হঠাৎ কালবৈশাখী হাওয়া। আকাশে মেঘের ঘনঘটা জানান দিলো-বৃষ্টি আসবে।  অতঃপর মুষলধারে বৃষ্টি।  মিনিট দশেকের বৃষ্টি হারিয়ে যায় দ্রুত।  তবে সেই ক্ষণিকের বৃষ্টিতে নগরজীবনে স্বস্তি ফিরে আসে।
বুধবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় দমকা হাওয়ার সাথে বিদ্যুৎ চমকানো দেখে পথচারীরা ভেবেছিলেন বজ্রপাত হবে, তা না হলেও বৃষ্টিতে ভিজেছেন অনেকে।  তাই শুরু হয় ছুটোছুটি।
আবহাওয়াবিদরা জানান, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।  এই অবস্থায় চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।  সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
কালবৈশাখী উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হয় বলে একে ইংরেজিতে নরওয়েস্টার বলা হয়।  এই উপমহাদেশের ভূপৃষ্ঠস্থ বায়ু অত্যধিক গরম হলে বাতাস হালকা ও অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে।  উত্তপ্ত হালকা বাতাস সোজা ওপরে উঠে শীতল হয়ে কিউমুলাস মেঘ সৃষ্টি করে।  বায়ুমণ্ডলের অস্থিরতা অব্যাহত থাকলে কিউমুলাস মেঘ উল্লম্বভাবে কিউমুলোনিম্বাস নামক কালো মেঘ তৈরি করে এবং পরবর্তী সময়ে বজ্রঝড়ের সৃষ্টি করে।  সাধারণ ঝড়ের সঙ্গে কালবৈশাখীর প্রধান পার্থক্য হচ্ছে-এই ঝড়ের সঙ্গে সবসময়ই বিদ্যুৎ চমকায় এবং বজ্রপাত হয়।  মেঘে প্রচুর জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি এবং বায়ুর পুঞ্জীভূত ঊর্ধ্বচলনের ফলে কালবৈশাখীর সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়।  অতিরিক্ত শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২০ এপ্রিল) সকালে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৩ কিলোমিটার।  সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস রয়েছে।  এক্ষেত্রে তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি কমতে পারে।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর