ফণী-আম্ফানের মতো ধ্বংসাত্মক হবে না ঘূর্ণিঝড় ‘আসানী’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে আসানী। আগামি ২৪ ঘণ্টার ভেতর এটি ভারত উপকূলে আছড়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।  তবে আশার কথা, ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ছে ঝড়টি।  আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশে তাণ্ডব চালানো প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী বা আম্ফানের মতো ধ্বংসাত্মক হবে না ‘আসানী’।
 বঙ্গোপসাগর-আরব সাগর নিয়ে গঠিত উত্তর ভারত মহাসাগর অঞ্চলে তৈরি ২০২২ সালের প্রথম ঘূর্ণিঝড় আসানী।  এর নামটি দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা।  সিংহলী ভাষায় আসানী অর্থ ক্রোধ বা রোষ।  তবে ভাগ্য ভালো উপকূলীয় বাসিন্দাদের।  আসানীর ‘ক্রোধ’ ধীরে ধীরে কমে আসছে!
ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের (আইএমডি) তথ্যমতে, বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল ৬ টার দিকে ঝড়টির অবস্থান ছিল ভারতের বিশাখাপত্তনম থেকে ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং পুরি থেকে ৬৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে।  সেসময় ঘণ্টায় প্রায় ২৫ কিলোমিটার বেগে অন্ধ্রপ্রদেশ-ওড়িশা উপকূলের দিকে এগোচ্ছিল আসানী।
আইএমডি জানিয়েছে, প্রত্যাশিত গতিবিধি অনুসারে ঝড়টি মঙ্গলবারের মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশ-ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে।  তবে স্থলভাগে আঘাত হানার আশঙ্কা খুবই কম।  ক্রমাগত শক্তি হারিয়ে ঝড়টি আগামী দুদিনের মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
সাধারণত মে মাসে গ্রীষ্মের চূড়ান্ত অবস্থায় বঙ্গোপসাগরের ওপর সৃষ্ট ঝড়গুলো উত্তর ভারত মহাসাগর অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী হয়।  এসময় ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি ও তার শক্তিবৃদ্ধির মতো আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে উষ্ণ সমুদ্র।  তবে এখন সামুদ্রিক তাপমাত্রা সেরকম না হওয়ায় অশনি অতটা শক্তিশালী হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০১৯ সালে ফণী ও তার পরের বছর ভারত-বাংলাদেশ উপকূলে তাণ্ডব চালিয়েছিল সুপার সাইক্লোন আম্ফান।  এতে প্রাণ হারান কয়েকশ মানুষ, ধ্বংস হয় অসংখ্য ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, গাছপালা।  উপকূলের সেই ক্ষত আজও মেটেনি।  তবে ঘূর্ণিঝড় আসানী নিয়ে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো আশঙ্কা নেই।  এটি ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের মতোই উপকূলের কিনারা ছুঁয়ে দুর্বল গতিতে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস অনুসারে, মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে আসানীর শক্তি কমে ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার গতির ঝড়ে পরিণত হবে এবং ১২ মের মধ্যে সেটি আরও দুর্বল হয়ে সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ