বন্যা দুর্গত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করছে আওয়ামী লীগ

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
বন্যার্তদের জন্য সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করবে।  আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।  শনিবার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়।
সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি এ জরুরি বৈঠক ডাকে।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এবং উপকমিটির সদস্য সচিব সুজিত রায় নন্দী বলেন, বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বন্যার্তদের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে সরকার ও আওয়ামী লীগ।  এছাড়া দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও মাঠে রয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত নারী, পুরুষ ও শিশুদের রক্ষায় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে নৌকা, ওরস্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও শুকনো খাবারসহ অন্যান্য জীবনরক্ষাকারী সামগ্রী পাঠানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বৈঠকে।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে বেশকিছু কমিটি গঠন করা হয়।  আক্রান্ত উপজেলাগুলোতে দ্রুত ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির টিম সাহায্য নিয়ে যাবে।  পাশাপাশি এই প্রাকৃতিক ও মানবিক বিপর্যয়ে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি ও সংগঠন পর্যায়ে সব সামর্থ্যবানদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সুজিত রায় নন্দী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে জাতি আজ দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বসেরা।  আওয়ামী লীগের রাজনীতি হচ্ছে মানবতার রাজনীতি, কল্যাণ সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের রাজনীতি।  বন্যাসহ দেশের প্রতিটি সমস্যা মোকাবিলায় সরকার ও দল এক ও অভিন্নভাবে কাজ করছে।  সিলেট ও সুনামগঞ্জে বানভাসি মানুষকে রক্ষায় সরকার ও দলের সার্বক্ষণিক তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এই শীর্ষ নেতা।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  বন্যার্তদের জন্যে ৬০০ আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।  এসব আশ্রয়কেন্দ্রে হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।  বন্যার্তদের উদ্ধার করে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।  দুর্গতদের উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন, বিজিবি ও আওয়ামী লীগ পরিবার।  এছাড়া বন্যাকবলিত এলাকায় সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনীকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্তদের জন্যে সরকারিভাবে ৩০ লাখ করে মোট ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।  এছাড়া ২০০ মেট্রিক টন চাল, আট হাজার করে শুকনো খাবারের প্যাকেট দেওয়া হয়েছে।  যেখানে চাল, ডাল, তেল, চিনি ও মসলা রয়েছে।  এছাড়াও সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা এবং বন্যা মোকাবিলায় সব তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে সরকার।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ