বাংলাদেশের যেখানে মা-মেয়ের স্বামী একজনই

বিচিত্র বিশ্ব ডেস্ক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তের উত্তরাংশে পাহাড়ি অঞ্চল মধুপুরের প্রাচীন এক জনগোষ্ঠী হলো মাণ্ডী সম্প্রদায়।  আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে এই সম্প্রদায়ের দুই নারী এবং তাদের স্বামীর কথা, যেখানে মা ও মেয়ে দুজনের স্বামী একজনই।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ওই মায়ের নাম মিত্তামোনি।  বয়স ৫১ বছর।  মেয়ের নাম ওরোলা দাবোত (৩০)।  মা ও মেয়ের স্বামীর নাম নোতেন।
মাতৃতান্ত্রিক হলেও মাণ্ডী সমাজে প্রচলিত আছে এক অদ্ভুত রীতি।  যদি কোনো বিধবা তরুণী বিয়ে করতে চান, তাহলে তাকে বিয়ে করতে হবে শ্বশুরবাড়ির গোষ্ঠী থেকেই।  যেরকম হয়েছে মিত্তামোনির সঙ্গে।  মাত্র ২০ বছর বয়সে স্বামীকে হারান তিনি।  এদিকে শ্বশুরবাড়ির বংশে তখন বিয়ের যোগ্য পাত্র ছিল একজনই।  ১৭ বছর বয়সী নোতেন।  তাকে বিয়ে করলেন মিত্তামোনি।  কিন্তু মানতে হলো শর্ত।  সেটি হলো- মিত্তামোনির মেয়ে যখন পূর্ণ নারী হবে, তখন সে হবে নোতেনের দ্বিতীয় স্ত্রী।  এটাই প্রচলিত রীতি।  কারণ এমনটা না হলে বেশি বয়সী নারীদের বিয়ে করতে রাজি হয় না অল্পবয়সী পুরুষরা।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ওরোলা দাবোত মায়ের কাছে জানতে পারেন- তাদের সম্প্রদায়ের প্রচলিত রীতি অনুযায়ী মাত্র তিন বছর বয়সে নাকি তার বিয়ে হয় নোতেনের সঙ্গে।  এখন মা-মেয়ে দুই বৌয়ের সঙ্গে দিব্যি আছেন নোতেন।  সংসারে বড় হচ্ছে মা মিত্তামোনি এবং মেয়ে ওরোলার সন্তানরা।  সবার বাবা ওই একজনই- নোতেন।
রীতির চাপে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন ওরোলা।  মাণ্ডী সমাজে মেয়েরাই বেছে নেয় জীবনসঙ্গী।  প্রপোজও তারাই করে।  বিয়ের পরে শ্বশুরঘর করতে আসে স্বামী।  এমনকি সম্পত্তির মালিকও হয় মেয়েরাই।  কিন্তু এসবের থেকে বঞ্চিত ওরোলা।  মাঝখান থেকে নষ্ট হয়ে গেছে মা-মেয়ের সম্পর্ক।  মিত্তামোনি এখন মা নন- ওরোলার সতীন।- সূত্র: বিবিসি ও ইন্ডিয়া টুডে

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ