বিশ্বের সবচেয়ে কুৎসিত কুকুরের পুরস্কার জিতে নিলো ‘স্কুটার’

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বিশ্বের সবচেয়ে কুৎসিত কুকুরদের প্রতিযোগিতা। শুক্রবার (২৩ জুন) ক্যালিফোর্নিয়ার পেটালুমাতে সোনোমা-মারিন মেলায় অনুষ্ঠিত হয় এটি। এতে সাত বছর বয়সী চীনা ক্রেস্টেড কুকুর ‘স্কুটার’ কে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়ে যায় ২০২৩ সালের সবচেয়ে কুৎসিত কুকুরদের প্রতিযোগিতায় সাত বছর বয়সী চীনা ক্রেস্টেড কুকুর কে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। কুকুরটিকে বিজয়ী মুকুটের সাথে একটি ট্রফি ও ১৫০০ ডলার পুরষ্কার প্রদান করা হয়। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া যায়।
বিগত ৫০ বছর ধরে ক্যালিফোর্নিয়ার পেটালুমাতে সোনোমা-মারিন মেলার অংশ হিসাবে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এই ভিন্নধর্মী প্রতিযোগিতা। আয়োজকদের ভাষ্য অনুযায়ী কুকুর দত্তক নেয়ায় উত্সাহিত করা এবং প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে জয়ী হয়ে আসা অসাধারণ কুকুরগুলি প্রদর্শন করাই প্রতিযো
এদিকে সংবাদমাধ্যম ‘টুডে’ এক প্রতিবেদনে জানায়, বিকৃত পা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিল স্কুটার। সেভিং অ্যানিমেলস ফ্রম ইউথেনেসিয়া (সেফ) নামের একটি উদ্ধারকারী দল কুকুরটিকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচায়। প্রথমে উদ্ধারকারী দলের এক ব্যক্তি স্কুটারকে দত্তক নেয় এবং প্রায় সাত বছর ধরে নিজের কাছে রেখে লালন পালন করেন।
লিন্ডা এলমকুইস্ট নামের এক নারী স্কুটারকে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে দত্তক নেন। তিনি স্কুটারকে দেখতে আসতেন এবং প্রয়োজনীয় মেডিকেল সাহায্যও দিতেন বলে জানা যায়।
‘স্কুটার’ শৈশব থেকে শুধুমাত্র তার সামনের পায়ে ভার দিয়ে হাঁটত এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে সে সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ত। পিছনের পাটিকে একটি ট্রাইপডের মতো আকৃতি করে তার উপর বসে বিশ্রাম নিতো কুকুরটি।
লিন্ডা এলমকুইস্ট বলেন, একজন শারীরিক থেরাপিস্ট স্কুটারকে একটি কার্টের (গাড়ি) পরামর্শ দেন। যদিও কার্টের সাথে মানিয়ে নিতে ওর কিছুটা সময় লেগেছিল কিন্তু এখন ও আরও দ্রুত হাটতে পারে। এমন অনেক কিছুই করতে পারে যা ও কখনই করতে পারত না। বিকৃত পা বাদে স্কুটারের সবকিছুই অন্যান্য কুকুরদের মতই।
কোভিডের কারণে প্রায় দুই বছর বন্ধ ছিল কুৎসিত কুকুরের এই প্রতিযোগিতা। বিরতির পর ২০২২ সালে আবার শুরু হয় এই প্রতিযোগিতা। গত বছরের বিজয়ী কুকুরের নাম ‘হ্যাপি ফেস’। কুকুরটির স্নায়বিক টিউমারের কারণে মাথাটি নিচের দিকে ঝুঁকে থাকতো। তার সবসময় একটি ডায়াপারের প্রয়োজন হত এবং সোজা হয়ে দাঁড়াতে বা হাঁটতেও কষ্ট হত। কিন্তু কুকুরটির হাসি এবং সাদা মোহক তাকে বিজয়ীর খেতাব এনে দেয়।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ