চট্টগ্রাম নগরের দুঃখ পোর্ট কানেক্টিং সড়কে কার্পেটিং শুরু

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রাম নগরের অন্যতম দুঃখখ্যাত পোর্ট কানেক্টিং (পিসি) সড়কের কার্পেটিং এর কাজ শুরু হয়েছে।  এর মধ্য দিয়ে সড়কটিকে যান চলাচল উপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে। এছাড়াও সড়কসংলগ্ন বসতি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায়ীরা স্বস্তির নিঃস্বাস ফেলতে শুরু করেছেন।  বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে কার্পেটিং কাজের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, জাইকার অর্থায়নে চলমান প্রকল্পের আওতায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাহের ব্রাদার্স এই কার্পেটিং এর কাজটি আগামি মার্চের মধ্যে শেষ করবেন। তবে চসিকের প্রশাসক আগামি ডিসেম্বরের মধ্যে এই কাজটি শেষ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন।  নচেৎ কার্যাদেশ বাতিলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
কার্পেটিং কাজের উদ্বোধনকালে খোরশেদ আলম সুজন বলেন, নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করে নির্বিঘ্নে চলাচলের সুবিধার্থে আমরা সড়ক বানাই।  পরে গিয়ে দেখা যায় নতুন নির্মিত এসব সড়ক ট্রাক, লরি, ট্রেলারের পার্কিংয়ের মাধ্যমে দখলে চলে গেছে।  আর এ জন্য নগরবাসীর সমালোচনা ও তোপের মুখে থাকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)।  তাই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে আপনারা সড়কের উপর অবৈধ পার্কিং বন্ধে ব্যবস্থা নিন।  কর্পোরেশনও আপনাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করবে।  সড়কে অবৈধ দখলের কারণে যানজটসহ কোনো ধরণের নাগরিক ভোগান্তি হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্পোরেশন চুল পরিমাণও ছাড় দিবে না।  এজন্য ট্রাফিক পুলিশকেও উদ্যোগী হতে হবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের লাইফলাইনখ্যাত পোর্ট কানেক্টিং রোড কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হওয়ায় আমি খুশি।  গত ৩ বছর ধরে এই সড়কটির কারণে নগরবাসী বিশেষ করে এই এলাকার অধিবাসীদের নিদারুন কষ্ট ও ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।  এজন্য নগরবাসীর কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।  তিনি বলেন, এই পিসি রোডের মোট ৬ কিলোমিটার এর মধ্যে এখন সাগরিকা হতে কলকা সিএনজি পাম্প স্টেশন পর্যন্ত ২ কিলোমিটার কার্পেটিং করা হচ্ছে।  বাকি ৪ কিলোমিটার কলকা হতে তাসফিয়া গার্ডেন পর্যন্ত অংশেও কার্পেটিং করা হবে।  কলকা মোড়ে একই প্রকল্পের অধীনে কালভার্টও নির্মিত হচ্ছে।  প্রশাসক আগামি ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো পিসি রোডের কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  এই সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল হবে বলে প্রশাসক ঘোষণা দেন।  এ সময় তিনি নির্মাণকাজ চলাকালে ধুলোবালি থেকে নগরবাসীকে রক্ষায় প্রতিদিন ১ ঘন্টা পর পর প্রকল্প এলাকায় পানি ছিটাতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও চসিকের প্রকৌশল বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
এ সময় চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু ছালেহ, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, বিপ্লব দাশসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

ডিসি/এসআইকে/আইএস