বান্দরবানে বই উৎসব : উৎফুল্ল শিক্ষার্থীরা পেলো ৩ লক্ষ ৭১ হাজার নতুন বই

বান্দরবানে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি।

বান্দরবান প্রতিনিধি : নতুন বছরের প্রথম দিন বান্দরবানে নতুন বই পেয়ে উৎফুল্ল কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে শহরের স্থানীয় রাজার মাঠে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ ও পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে বই বিতরণের এই উৎসবের উদ্বোধন করেন পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। পরে মন্ত্রী ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, নতুন বছরে বান্দরবান পার্বত্য জেলার ৬৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ৩ লক্ষ ৭১ হাজার সাতটি বই বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া এই অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির ভাষা চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা ভাষায় প্রাক-প্রাথমিকে প্রথম শ্রেণী, দ্বিতীয় শ্রেণী ও ৩য় শ্রেনীতে ১৪ হাজার ১২ জন ক্ষুদ্র নৃগোষ্টির ছাত্র-ছাত্রীকে মোট ৩১ হাজার ৯০২টি বই বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও জেলার ৬৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ লক্ষ ৫৪ হাজার ১১৮ টি বই বিতরণ করা হচ্ছে।

বই বিতরণ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শামীম হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান, প্রাথমিক-মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

বই বিতরণকালে পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি বলেন, নতুন বছরের প্রথমদিন কোমলমতি শিশুরা নতুন বই পাচ্ছে। এতে করে তাদের মধ্যে লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠ্য বই বিতরণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। শিক্ষাঙ্গণে সন্ত্রাস বন্ধ করে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। শিক্ষাকে যুগোপযোগী করে আধুনিক পাঠ্যক্রম চালু করে শিক্ষার মানোন্নয়ন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষা বান্ধব বলেই শিক্ষা ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে। মন্ত্রী আরোও বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির ভাষা চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা ভাষায় বই বিতরণ করা হলেও পর্যাপ্ত শিক্ষক ও প্রশিক্ষণের অভাবে এসব শিক্ষার্থীরা এগিয়ে যেতে পারছে না। আগামিতে শিক্ষকদের আরো প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার উন্নয়ন করা হবে। অতীতে অনেক সরকার ক্ষমতায় ছিল কিন্তু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির ছাত্র-ছাত্রীদের কথা কেউ মনে রাখেনি। তাই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির ছাত্র-ছাত্রীরা পিছিয়ে ছিল। আজ শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন ও উন্নয়ন হয়েছে। এ জন্য একমাত্র প্রশংসার দাবিদার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।