বান্দরবানে বিএনপি নেতাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড: ছেলের দাবি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা

বিএনপি নেতা আব্দুল কুদ্দুছ

বান্দরবান প্রতিনিধি : অনুমোদনবিহীন অবৈধ ইটভাটা স্থাপনের দায়ে বিএনপি নেতা ও বান্দরবান সদর উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১৭ লাখ টাকা জরিমানা করে কারাগারে প্রেরণ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরিবেশ অধিদপ্তরের স্পেশাল ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে দেয়া এই রায়ের পেছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আছে বলে দাবি করেছেন তার ছেলে। 

বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক একেএম সামিউল আলম কোরসি জানান, থানচির প্রাতাপাড়ার পাশে সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুছ, বিপ্লব মারমা, মো. আইয়ুব ও খামলাই ম্রো যৌথভাবে ইটভাটা তৈরি করে ইট প্রস্তুতের কাজ চালাচ্ছেন। এমন তথ্য পেয়ে মঙ্গলবার পরিবেশ অধিদপ্তরের স্পেশাল ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। পরে সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানকে মঙ্গলবার রাতেই পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-২০১৩ এর ১৪, ১৫, ১৬ ও ১৮ ধারায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১০ বছরের জেল ও ১৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

ইটভাটার অন্যতম মালিক আব্দুল কুদ্দুছ এর ছেলে মুশফিকুর রহমান দৈনিক চট্টগ্রামকে জানান, মঙ্গলবার সকালে ইটভাটা দেখার কথা বলে আমার বাবাকে থানচি ডেকে নিয়ে যায় ম্যাজিস্ট্রেট। পরে সন্ধ্যায় খবর পাই আমার বাবাকে সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাতের বেলা উনাকে থানচি থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। পরে রাত ১ টার দিকে উনাকে জেলে পাঠানো হয়। তিনি বলেন, ইটভাটার মালিকতো আমার বাবা একা নন। খামলাই ম্রো, কর্ণেল আইয়ুব, বিপ্লব মেম্বার- তারাও এ ইটভাটার মালিক। কিন্তু শুধু আমার বাবাকে সাজা দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক নির্দেশনায় আমার বাবাকে সাজা দেয়া হয়েছে। আমার বাবা বিএনপি করে- এটাই সমস্যা। তিনি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন করতে পারেন এবং বিজয়ী হতে পারেন- এমন ভয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমার বাবাকে অবৈধভাবে সাজা দেয়া হয়েছে।