৩ পার্বত্য জেলায় পাসের হার কমেছে

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার ফলাফলে পাহাড়ের তিন জেলায় পাসের হার কমেছে। গত বছর এসএসসিতে বিষয় কমিয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার সুবাদে ফলাফল আশানুরূপ হলেও এবার সেটি ভেস্তে গেছে। অন্যদিকে কোভিডের দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার প্রভাব এবারও পড়েছে। এসব কারণেই এবার পাহাড়ের তিন জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে এসএসসির পাসের হার কমেছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের (মাউশি) তিন জেলার ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, রাঙামাটি জেলার এসএসসির পাসের হার ৮১ দশমিক ৬০ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৮৬ দশমিক ৮৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ। খাগড়াছড়ি জেলার এসএসসির পাসের হার ৭৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ, গত বছর ছিল ৮৪ দশমিক ১৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। বান্দরবান জেলার এসএসসির পাসের হার ৭৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ, গত বছর ছিল ৯০ দশমিক ৮৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ। তিন জেলায় এবার পাসের হার কমেছে।
এদিকে রাঙামাটি জেলা শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাসের হার ৯৭ দশমিক ০৯ শতাংশ আর জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ৫০ জন। রাঙামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৯২ দশমিক ৯৪ শতাংশ, জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ৩০ জন। রাঙামাটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৯৫ দশমিক ১২ শতাংশ, জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ৩৮ জন। রাণী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৯২ দশমিক ৫৯ শতাংশ, জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ২ জন। শাহ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৮৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ, জিপিএ ফাইভ কেউ পায়নি। শহীদ আব্দুল আলী একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৮১ দশমিক ১৩ শতাংশ, জিপিএ ফাইভ কেউ পায়নি। মুজাদ্দেদ-ই আলফেসানি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৭৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ, জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ১ জন।
পাহাড়ের শিক্ষাবিদরা জানান, কোভিডের কারণে দীর্ঘসময় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তবে গত বছরের এসএসসির পরীক্ষার্থীদের চেয়ে এবারের পরীক্ষার্থীরা বেশি ভুক্তভোগী হয়েছে। দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদানের বাহিরের থাকায় ফলাফলে তার প্রভাব পড়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বান্দরবান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সরিৎ কুমার চাকমা বলেন, ‘বান্দরবানের ৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ৫ হাজার ৪৮ জন শিক্ষার্থী এসএসসিতে অংশগ্রহণ নিয়েছে। এরমধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৪ হাজার ১৩৮ জন ও অকৃতকার্য হয়েছে ৯১০ জন। তিনি বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার পাসের হার কমেছে। দীর্ঘসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এর প্রভাব পড়েছে। সে কারণে চলতি বছরের ফলাফলে পাসের হার কমেছে’।
রাঙামাটির জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘এবার পাসের হার মোটামুটি, বেশি ভালো হয়েছে বলা যাবে না। আশাকরি সামনের দিনে আরও ভালো করবে পাহাড়ের শিক্ষার্থীরা’।

ডিসি/এসআইকে/এসপিআর