চট্টগ্রামের ৭১ স্কুলে শতভাগ পাস

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
এবারও এসএসসি পরীক্ষার শতভাগ পাস সেরা স্কুলের তালিকায় উঠে এসেছে চট্টগ্রাম নগরের ১০ স্কুলের নাম। এছাড়াও চট্টগ্রামের ৭১টি স্কুলের কেউ ফেল করেনি, কৃতকার্য হয়েছে সবাই।
প্রতিবার যেখানে শতভাগ পাস এবং জিপিএ-৫ শিক্ষার্থীর দিক থেকে এগিয়ে সেরার তালিকায় থাকত চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল। সেখানে এবার একজন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ায় এবার তালিকার শীর্ষস্থান থেকে ছিটকে পড়েছে স্কুলটি।
এবার বোর্ডের এক হাজার ৯২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করে সেরার তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা বিদ্যালয়। যেখানে ৬১০ জন পরীক্ষার্থীদের সবাই পাস করেছেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ডা. খাস্তগীর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তাদের পরীক্ষার্থী ছিল ৪৭৯ জন।
তৃতীয় স্থানে আছে চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এবার প্রতিষ্ঠানটি থেকে ২৪৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫৫ জন।
২২১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে শতভাগ পাস করে ৪র্থ অবস্থানে রয়েছে সেন্ট প্লাসিড স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ৫ম অবস্থানে রয়েছে জোরারগঞ্জ বৌদ্ধ উচ্চ বিদ্যালয়। এই প্রতিষ্ঠান থেকে এবার ২২১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করে।
পাসের হারের ভিত্তিতে সেরা দশে থাকা নগরের বাকি পাঁচ বিদ্যালয়ের মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম ক্যান্টনম্যান্ট পাবলিক কলেজ। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ২১৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে।
সপ্তম স্থানে রয়েছে ক্যান্টনম্যান্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এই স্কুল থেকে ২১১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। অষ্টম স্থানে রয়েছে চকরিয়া গ্রামার স্কুল। প্রতিষ্ঠানটি থেকে এবার ২০৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে।
নবম স্থানে রয়েছে হালিশহর ক্যান্টনম্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ২০৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে। দশম স্থানে আছে কুসুমকুমারী সিটি করপোরেশন বালিকা বিদ্যালয়। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই কৃতকার্য হয়েছে।
অভিভাবক ও শিক্ষকদের নিরলস পরিশ্রমের কারণে ডা. খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভালো ফলাফল করেছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক শাহেদা আক্তার। তিনি বলেন, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা কঠোর পরিশ্রম করেছেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের একান্ত প্রচেষ্টা ছিল। এর ফলে প্রতিবছরের যে ধারাবাহিকতা তা আমরা রক্ষা করতে পেরেছি।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর