ডুবে গেছে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু

রাঙামাটি প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
উজানের পানি নেমে আসায় বেড়ে গেছে কাপ্তাই হ্রদের পানি। এতে তলিয়ে গেছে রাঙামাটির আকর্ষণ ঝুলন্ত সেতু। আজ রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) হ্রদের পানিতে সেতুটি প্রায় ৬ ইঞ্চি পানির নিচে তলিয়ে আছে। দুর্ঘটনা এড়াতে সেতু নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন সেতুর ওপর পর্যটকদের চলাফেরা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
এদিকে সেতু ডুবে যাওয়ায় পর্যটকেরা নিরাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে আসা রাহুল সাহা বলেন, ‘প্রথম রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু দেখতে আসলাম। এসে দেখি এ অবস্থা। এ দৃশ্য আমাকে হতাশ করেছে। এটি যেন আমার দুর্ভাগ্য মনে হচ্ছে’।
পর্যটন বোট ঘাট ইজারাদার মো. রমজান বলেন, ‘সেতু ডুবে যাওয়ায় আজ আমাদের কোনো বোট ভাড়া হয়নি। গত ৫ দিন আমাদের আয় কমেছে। পানি না কমলে আমাদের আয় কমে যাবে’।
বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের তথ্য মতে, প্রতিদিন গড়ে এক হাজারের অধিক পর্যটক ওঠে ঝুলন্ত সেতুতে। এতে আয় বাড়ে পর্যটন কর্পোরেশনের।
কর্পোরেশনের রাঙামাটি ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, সেতু ভেসে না উঠলে পর্যটনে লোকসান হওয়ার পাশাপাশি পর্যটক কমবে। এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
রাঙামাটি কাপ্তাই জলবিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হ্রদে ১০৫ দশমিক ৬৬ ফুট পানি রয়েছে। প্রতিনিয়ত পানি বাড়ছে। ১০৭ ফুট উচ্চতা হলে পানি ছাড়ার কথা চিন্তা করা হবে। বর্তমানে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২০৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। হ্রদে পানি বাড়লে উৎপাদনও বাড়ে।
এদিকে ১৯৮৫ সালে সেতুটি নির্মাণ করে পর্যটন কর্পোরেশন। এরপর এ সেতুটি আরও উঁচুতে স্থানান্তরের কথা বলা হলেও তা হয়নি।

ডিসি/এসআইকে/এমকেইউ