বরিশালে রিভলবার নিয়ে জাপা ও শ্রমিক লীগ নেতার মধ্যে ধস্তাধস্তি

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
বরিশাল জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ও সিটি কাউন্সিলর এ কে এম মর্তুজা আবেদীনের সঙ্গে রিভলবার নিয়ে মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রইস আহম্মেদ মান্নার ধস্তাধস্তি হয়েছে। পরে মর্তুজা আবেদীনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। আজ রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে নগরীর পোর্ট রোডে ভূমি অফিসের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
তবে মর্তুজা আবেদীন দাবি করেন, তাঁর রিভলবারটি লাইসেন্স করা। মান্না রিভলবারটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁর সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়।
রইছ আহম্মেদ মান্না বিদায়ী সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর ‘ছয় খলিফার অন্যতম’। তিনি ২ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন। তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল হলে ভাই মুন্না জাপা নেতা মর্তুজাকে পরাজিত করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ২ নম্বর ওয়ার্ডে টানা পাঁচবার নির্বাচিত কাউন্সিলর মর্তুজা এবার পরাজিত হন। গত ১৫ জুনের ওই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মান্না ও মর্তুজার প্রকাশ্যে বিরোধ চলছে।
মর্তুজা বলেন, রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) তিনি পোর্ট রোডে ভূমি অফিসে গিয়েছিলেন। দপ্তরের ভবন থেকে প্রধান ফটকে গেলে সেখানে আগে থেকে অপেক্ষমাণ মান্না ও তাঁর সহযোগীরা তাঁর ওপর হামলা করেন। হামলাকারীরা তাঁর পকেট থেকে রিভলবারটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি দৌড়ে একটি ইজিবাইকে উঠলে মান্না ও তাঁর সহযোগীরা রিভলবারটি ছিনিয়ে নেন। তখন সেখানে থাকা ট্রাফিক পুলিশ এসে তাঁকে থানায় নিয়ে যায়।
অভিযোগের বিষয়ে রইস আহম্মেদ মান্না বলেন, তিনিও ব্যক্তিগত কাজে ভূমি অফিসে গিয়েছিলেন। মর্তুজার সঙ্গে দেখা হলে তাঁকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করেন। একপর্যায়ে রিভলবার বের করে গুলি করতে চান মর্তুজা। তখন জনতা তাঁকে আটক করে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, মর্তুজাকে রিভলবারসহ আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। রিভলবারটি লাইসেন্স করা কি না তা যাচাইবাছাই করা হচ্ছে।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ