জাতীয় নির্বাচনের ব্যালট পেপার প্রস্তুত হচ্ছে কর্ণফুলী পেপার মিলে

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপারের কাগজ চন্দ্রঘোনাস্থ কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) থেকে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যে ব্যালট পেপারের কাগজ উৎপাদন ও সরবরাহ শুরু করেছে কেপিএম কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট পেপারের মাধ্যমেই ভোট গ্রহণ হবে। এর প্রেক্ষিতে কাপ্তাই উপজেলাধীন কেপিএমকে ১৬০০ মেট্রিক টন কাগজ সংগ্রহের অর্ডার দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কেপিএম কর্তৃপক্ষও চাহিদা অনুযায়ী কাগজ তৈরি এবং নির্বাচন কমিশনকে সরবরাহ করা শুরু করেছে।
কেপিএম সূত্রে জানা যায়, গত অক্টোবর মাস থেকে কয়েক দফায় ব্যালট পেপারের কাগজ নির্বাচন কমিশন অফিসে সরবরাহ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) আরও সাত ট্রাক ব্যালটের কাগজ সরবরাহ করেছে কেপিএম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম আনিসুজ্জামান জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য নির্বাচন কমিশন কর্ণফুলী পেপার মিল থেকে সাদা, লাল ও সবুজ রঙের মোট ১ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এসব কাগজের মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা। নির্বাচন কমিশনকে যথাসময়ে কাগজ সরবরাহ করার জন্য কেপিএম কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া কাগজ উৎপাদনের জন্য কাঁচামাল হিসেবে বিদেশ থেকে প্রয়োজনীয় পাল্প নিয়ে আসা হয়েছে।
কেপিএমের অপর একটি সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনকে দফায় দফায় ব্যালটের কাগজ সরবরাহ করবে কেপিএম কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে তফসিল ঘোষণার পর সিডিউল অনুযায়ী যারা প্রার্থী হবেন এবং প্রার্থীরা কে কোন প্রতীক বরাদ্দ পাবেন তার ওপর নির্ভর করে ব্যালট পেপার ছাপানো হবে। কাজেই তফসিল ঘোষণার পর থেকেই পুরোদমে নির্বাচন কমিশনকে কাগজ সরবরাহ করবে কেপিএম।
মিলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আব্দুল্লাহ আর মাহমুদ বলেন, নানাবিধ প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সর্বস্তরের শ্রমিক কর্মচারী এবং কর্মকর্তারা নির্বাচন কমিশনকে চাহিদা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাগজ সরবরাহ করতে পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, যথা সময়ের মধ্যে সব কাগজ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
কেপিএম সিবিএ সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু ও সভাপতি আবদুর রাজ্জাক বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ১৬০০ মেট্রিক টন কাগজের চাহিদা দেওয়ায় কারখানার শ্রমিক কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের মধ্যে আনন্দ ফিরে এসেছে। এভাবে যদি কেপিএম থেকে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান কাগজ ক্রয় করে তবে কেপিএম আবার ঘুরে দাঁড়াবে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে। আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। যেকোনো সময় তপশিল ঘোষণা হতে পারে।

ডিসি/এসআইকে/এমএএইচ