রাঙামাটি প্রতিনিধি >>>
করোনার কারণে কোয়ারেন্টাইনে থাকার ভয়ে এবং প্রশাসনিক ঝামেলার কারণে পার্বত্য রাঙামাটি জেলার ২৩৪ জন প্রবাসী আত্মগোপনে আছেন বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে জেলায় কর্মরত সবগুলো গোয়েন্দা সংস্থা একযোগে কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছুফিউল্লাহ।
বুধবার (১৮ মার্চ) করোনাভাইরাস প্রতিরোধে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জরুরি সভায় এই বিষয়টি উঠে আসে।
ইমিগ্রেশনের তথ্যমতে, গত ১ থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে রাঙামাটিতে ২৪৩ জন এলেও মাত্র নয়জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখতে পেরেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। বাকি ২৩৪ জন তথ্য গোপন করে অবস্থান করছে বিভিন্ন স্থানে। তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে জেলায় কর্মরত সবগুলো গোয়েন্দা সংস্থা একযোগে কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছুফিউল্লাহ। তিনি বলেন, রাঙামাটিতে এসে ২৩৪ প্রবাসী আত্মগোপনে রয়েছেন। তাদের খুঁজছি আমরা। তাদের খুঁজে বের করে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হবে।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক (ডিসি) একেএম মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন বিপাশ খীসা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিল্পী রানী রায় ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছুফি উল্লাহসহ জনপ্রতিনিধিরা।
সভায় ডিসি মামুনুর রশিদ বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত। এ নিয়ে কেউ যাতে গুজব ছড়াতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে। সবাইকে সচেতন হতে হবে। সভায় রাঙামাটিতে পর্যটক আপাতত না আসার জন্য আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, এ মাসে রাঙামাটি এসেছেন এমন ২৪৩ জনের একটি তালিকা আমাদের হাতে এসেছে। তালিকাটি আমরা যাচাই-বাছাই করছি। এরা সবাই রাঙামাটি এসেছেন কি-না, এলেও কোথায় আছেন সেই তথ্য সংগ্রহ করছি। ইতোমধ্যে তালিকা সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। এদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) থেকে মাঠে নামবেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রাঙামাটির সিভিল সার্জন বিপাশ খীসা বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। দেশের স্বার্থ বিবেচনায় না নিয়ে এসব প্রবাসী আত্মগোপনে আছেন। ফলে এরা নিজেরাই যেমন ঝুঁকিতে রয়েছেন তেমনি তার পরিবার ও সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরাও ঝুঁকিতে পড়েছেন। আত্মগোপনে থাকা প্রবাসী ভাইদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা তথ্য দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
ডিসি/এসআইকে/এমকে