ফটিকছড়ির মাইজভান্ডার-হালদা পাড় পর্যন্ত সড়ক সংস্কারে ৩৫ লাখ টাকা বরাদ্দ

মোহাম্মদ জিপন উদ্দিন,ফটিকছড়ি >>>
উত্তর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার পূর্ব ফরহাদাবাদস্থ নাজিরহাট মাইজভান্ডার দরবার রোড থেকে হালদা বাঁধের পাড় পর্যন্ত ২ কিলোমিটার সড়কটি অবশেষে সংস্কার হতে যাচ্ছে। ২৪ ফিট প্রশস্ত আবুল হোসেন শাহ সড়কটির সংস্কারের জন্য ৩৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ফটিকছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য মজহারুল হক শাহ চৌধুরীর একান্ত প্রচেষ্টায় প্রকল্পটি নিশ্চিত করা গেছে বলে জানা গেছে।
গত ১৬ আগস্ট (রবিবার) নাজিরহাট পৌর এলাকার পূর্ব ফরহাদাবাদ আবুল হোসেন শাহ চৌধুরী সড়ক সংস্কারে ৩৫ লাখ ৩ হাজার ১০৮ টাকা বরাদ্দের বিষয়টি অনুমোদিত হয়।
জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে মজহারুল হক শাহ চৌধুরী ফটিকছড়ির সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ে এ সড়কটি ছিল মাটির। পরে তিনি ব্রিকসলিন করেন। এরপর অনেকদিন একই অবস্থায় ছিল। পরে সড়কটি চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়লে তিনি ২০১২ সালের শেষের দিকে এ সড়কটিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অন্তর্ভুক্ত করেন। একইবছর এ সড়কটিতে কার্পেটিং করার জন্য ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় (এলজিইডি)। দীর্ঘ ৮ বছর কার্পেটিং করা এ সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। কিন্তু প্রতি বছরের বর্ষা মৌসুমে সড়কটির বিভিন্ন জায়গায় কার্পেটিং ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হয়।
ফটিকছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য মজহারুল হক শাহ চৌধুরী দৈনিক চট্টগ্রামকে বলেন, রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় কার্পেটিং উঠে যাওয়া ও গর্ত হয়ে যাওয়াতে আমি আগস্টের শুরুর দিকে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ওয়াহিদুজ্জামানকে প্রস্তাবনা দিই, তিনি উপজেলা প্রকৌশলীর মাধ্যমে রাস্তার বাজেট তৈরি করে অনুমোদন দেন। আমি এবং আমার পরিবার বঙ্গবন্ধুর অনুসারী, দলমত নির্বিশেষে আমি চেষ্টা করেছিলাম সব সময় মানুষের পাশে থেকে তাদের জন্য কিছু করতে। জানিনা কতটুকু পেরেছি, তবে ভবিষ্যতেও আমি নিজের সাধ্যমতো এই অঞ্চলের গরীব দুঃখী অসহায়দের পাশে থাকব। এলাকার মানুষের নাগরিক সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করে যাবো।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ওয়াহিদুজ্জামান দৈনিক চট্টগ্রামকে বলেন, নাজিরহাট মাইজভান্ডার দরবার সড়ক থেকে হালদা বাঁধের পাড় পর্যন্ত ২ কিলোমিটার দুরত্বের ২৪ ফিট প্রশস্ক আবুল হোসেন শাহ সড়কটির সংস্কার কাজের জন্য ৩৫ লাখ টাকা বরাদ্দসহ আরো কয়েকটি রাস্তা সংস্কারের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আগামি সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ কাজ শুরু হতে পারে।

ডিসি/এসআইকে/এমজেইউ