হোম কোয়ারেন্টাইনে না থাকায় প্রবাসীকে জরিমানা

হাটহাজারী প্রতিনিধি >>>
উত্তর চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে না থাকায় সদ্য বিদেশ থেকে আসা এক প্রবাসীকে অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া গ্রামের সিকদার পাড়ার সুরুত মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ হোসেনকে সরকার নির্দেশিত বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইনে না থাকায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জানা যায়, চারিয়া গ্রামের প্রবাসী সাজ্জাদ হোসেন গত ১১ মার্চ মধ্যপ্রাচ্যের দুবাই থেকে দেশে আসেন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বিদেশ ফেরত যে কেউ দেশে আসার পর ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু এই নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে সাজ্জাদ হোসেন প্রকাশ্যে চলাফেরা করছেন। বিষয়টি গ্রামের সচেতন ব্যাক্তিরা দেখতে পেয়ে তাকে একাধিকবার হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা বলেন। কিন্তু তিনি বিষয়টিতে গুরুত্ব না দিয়ে প্রকাশ্যেই চলাফেরা করতে থাকেন। পরে গ্রামের মেম্বারকে অবহিত করা হয়। এতেও সাজ্জাদ হোসেন কর্ণপাত না করায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করা হলে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরুপ- এমন নির্দেশ অমান্য করায় সাজ্জাদ হোসেনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়াও সাজ্জাদ হোসেন এবং তার পরিবারের সকলকে করোনাভাইরাস এবং এর সংক্রমণ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউন্সিলিং করেন।
রুহুল আমিন বলেন, আমি সাজ্জাদ হোসেন এবং তার পরিবারকে বুঝিয়ে বলেছি ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে না থাকলে প্রথমে নিজের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। ফলে এর করুন পরিণাম মৃত্যু।
উল্লেখ্য, কোয়ারেন্টাইন এর বাংলা অর্থ হলো সঙ্গনিরোধ। অর্থাৎ একজনের কাছ থেকে আরেকজনের আলাদা থাকা। যাতে অন্য সুস্থ ব্যক্তির দেহে ভাইরাস সংক্রমিত না হয়। আর হোম কোয়ারেন্টাইন হলো সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার কারনে বাধ্যতামূলকভাবে ঘরে একা থাকতে হবে। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার সময়কাল ১৪ দিন। এই ১৪ দিন একটি নির্দিষ্ট ঘরে সবার কাছ থেকে আলাদা থাকতে হবে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, উপাসনালয়, বাজার বা কোনো প্রকার জমায়েতে যাওয়া যাবে না। গণপরিবহনে ওঠা যাবে না। আলাদা বাথরুম, আলাদা বাসনপত্র ব্যবহার করতে হবে। কারো সাথে সাক্ষাৎ করা যাবে না; সাক্ষাৎ জরুরি হলে অন্তত ৩ ফুট দূরত্বে থেকে করতে হবে। জনস্বার্থে এ নিয়ম মানা বাধ্যতামূলক।

ডিসি/এসআইকে/এমএমইউএম