কোরবানীর পশুর বর্জ্য অপসারণে চসিকের জোনভিত্তিক দায়িত্ব বন্টন

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) আসন্ন কোরবানীর ঈদে ৮ থেকে ১০ ঘন্টার মধ্যে নগরীতে জবাইকৃত পশুর বর্জ্য অপসারণ করার উদ্যোগ নিয়েছে।  এ লক্ষ্যে নগরীরকে উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম- চারটি জোনে ভাগ করা হয়েছে।
এই চারজোনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে চসিকের ৪ ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে।  তারা হলেন যথাক্রমে উত্তরে মো. এসারুল হক, দক্ষিণে আবদুল বারেক, পূর্বে শৈবাল দাশ সুমন, পশ্চিমে অধ্যাপক মো. ইসমাইল।
উত্তর জোনের আওতাধীন ওয়ার্ডগুলো হচ্ছে ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ১৫ ও ১৬।  দক্ষিণ জোনের আওতাধীন ওয়ার্ডগুলো হচ্ছে ২৩, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ ও ৪১।  পূর্ব জোনের আওতায় পড়া ওয়ার্ডগুলো হচ্ছে ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪ ও ৩৫ এবং পশ্চিম জোনের আওতায় রাখা হয়েছে ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২৪, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড।  এই চারজোনের সার্বিক কাজের সমন্বয় করবেন বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী।
রবিবার (৪ জুলাই) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী অফিসের কনফারেন্স রুমে আসন্ন ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে কোরবানীর পশুর বর্জ্য অপসারণে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।  এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চসিকের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।  চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে এবং সচিব খালেদ মাহমুদের সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী, কাউন্সিলর মো. এসরারুল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, সুদীপ বসাক, ঝুলন কুমার দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী জয়সেন বড়–য়া, আবু শাহদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, বিপ্লব দাশ, মো. রেজাউল বারী ভূঁইয়া, মির্জা ফজলুল কাদের, শাহিনুল ইসলাম, নগর পরিকল্পনাবিদ আবদুল্লাহ আল ওমর।
সভার শুরুতে সিটি মেয়র পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোরবানীর পশুর বর্জ্য অপসারণে তাদের প্রস্তুতি, সাজ সরঞ্জাম, পর্যাপ্ত লোকবল ও গাড়ি সংগ্রহে আছে কিনা জানতে চান।  তিনি বলেন, অতীতেও কোরবানীর পশুর বর্জ্য অপসারণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সুনাম রয়েছে।  কাজেই এ সুনাম রক্ষা করতে হবে।  মেয়র পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের নগরীকে টাইম লাইনের মধ্যে পরিস্কার করতে যত ধরণের সহায়তা লাগে তা করা হবে জানিয়ে বলেন, আবর্জনা পরিস্কারে কোনো গাফেলতি বা অজুহাত মানা হবে না।
সভায় উপস্থিত উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী কোরবানীর বর্জ্য অপসারণে কোনো সমস্যা হবে না বলে উল্লেখ করেন।  তিনি বলেন, করোনার সীমিত বিধি নিষেধের কারণে সড়কে যান চলাচল কম তাই পরিচ্ছন্ন কাজে কোনো সমস্যা হবে বলে মনে হয় না।  তবে আবর্জনা পরিস্কারে আমাদের ১৮৮টি গাড়ি ও ৪০টি ওয়াকিটকি লাগবে।  কারণ কেন্দ্রিয়ভাবে আবর্জনা পরিস্কারে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ওয়াকিটকির কোনো বিকল্প নেই।  তিনি ওয়ার্ড পর্যায়ে কন্টেইনার মোভার ও পর্যাপ্ত টমটম গাড়ি সরবরাহের অনুরোধ জানান।  না হয় আবর্জনা পরিস্কারে সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের মতো যদি পরিচ্ছন্ন বিভাগের চাহিদাপত্র থাকে তাহলে আবর্জনা পরিস্কারের ক্ষেত্রে গাড়ি সরবরাহে কোনো সংকট হবে না।
সভাপতির বক্তব্যে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম কোনো সমস্যা থাকলে তা দ্রুত সমাধান করতে বলেন।  তিনি বলেন, কোনোভাবেই নির্দিষ্ট সময় সীমার বাইরে বর্জ্য অপসারণ করা যাবে না।  এ ব্যাপারে পরিচ্ছন্ন, প্রকৌশলসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর