হালিশহর এ-ব্লক সুপার মার্কেট সংলগ্ন সড়কটি যেন মরণফাঁদ

হালিশহর এ ব্লক সড়ক... যেন গ্রামের ভঙুর কোনো পথ। ছবি সংগৃহিত

কেফায়েতুল্লাহ কায়সার : চট্টগ্রামের হালিশহরের প্রাণকেন্দ্র এ-ব্লক। যদিও বর্তমানে বি-ব্লক ও আই-ব্লকসহ আশেপাশের রাস্তা-ঘাট এখন এ-ব্লকের চেয়েও উন্নত। কিন্তু এ-ব্লকের সকল রাস্তার চরম দূরবস্থা। ওয়াসার পানির টাংকি থেকে এ-ব্লক সুপার মার্কেট পর্যন্ত অসংখ্য খানা-খন্দকে ভরা এই সড়কটি যেন একটি মরণফাঁদ। রাতের অন্ধকারে মারাত্মক অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে এই ফাঁদের ফলে। ২৪ ঘন্টায় দুইবার জোয়ারের পানি ওঠে এখানে। ঝলমলে রোদের মাঝেও দুপুরের সময় জোয়ারের পানির কারণে প্রায় প্রতিদিনই যান চলাচল বন্ধ থাকে অন্তত কয়েক ঘন্টা। আর অতিরিক্ত জোয়ারের পানি হলে তো সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায় এই সড়কে যাতায়াত।

হালিশহর এ ব্লক সড়ক… যেন গ্রামের ভঙুর কোনো পথ।                                                                                                                         ছবি সংগৃহিত

এভাবে দিনের পর দিন ভোগান্তি চলতে থাকায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধির উপর ক্ষোভ জন্মেছে এই পথে চলাচলকারী জনসাধারণের। স্থানীয়দের অভিযোগ, এ-ব্লক বাদামতলী মোড়ে ওয়াসার পাইপ স্থাপনের জন্য মাটি খুঁড়ে পুকুর বানানো হয়েছে অন্তত ১৭বার। আবার এসব কাজ রাতে না করে করছে দিনে। বন্ধ রাখা হচ্ছে যান চলাচল। অনেক সময় ঐ খননকৃত গর্তও ফেলে রাখা হয়েছে দিনের পর দিন। বর্ষা মৌসুমে কয়েকটি রিক্সা উল্টে দুর্ঘটনা ঘটেছিল।আহত হয়েছেন অনেকেই। তারা স্থানীয় কাউন্সিলর মোরশেদ আক্তার চৌধুরীর কাছে দাবি জানান, গত ৬ বছর ধরে এই সড়কটিকে অসংখ্যবার কাটা হয়েছে। কিন্তু সড়কটির মেরামতে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

তাঁরা দাবি জানান, এ-ব্লক বাদামতলী মোড় থেকে সুপার মার্কেট পর্যন্ত সড়কটি দ্রুততার সাথে মেরামত করে যান ও জনসাধারণের নির্বিঘেœ চলাচল নিশ্চিত করুন।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলর মোরশেদ আকতার চৌধুরী জানান, ওয়াসার কাজ সম্পন্ন হলেই আমরা সড়কটি সংস্কার করে দেবো।