উন্মুক্ত হলো চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘীর ময়দান

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রাম নগরের ঐতিহ্যবাহী খেলার মাঠ এবং রাজনৈতিক আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত লালদীঘির মাঠ সংস্কার শেষে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। প্রায় দুই বছর পর উন্মুক্ত হওয়া ময়দানে স্কুল শিক্ষার্থীদের খেলাধুলাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি থাকলেও হবে না কোনো জনসভা বা রাজনৈতিক কর্মসূচি।
সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল লালদিঘী ময়দান রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব অনুষ্ঠানিকভাবে মুসলিম হাইস্কুলের কাছে হস্তান্তর করেন।
এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, করোনার সময় সবকিছু বন্ধ রাখার সুবাধে এ ময়দানের সংস্কার করা হয়। এখন মুসলিম হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকার শিশুদের খেলাধুলার জন্য এবং বয়স্কদের হাঁটাচলার জন্য মাঠটি উন্মুক্ত থাকবে। তিনি আরও বলেন, ময়দানটির রক্ষণাবেক্ষণ মুসলিম হাইস্কুল করলেও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কমিটি থাকবে। কেউ এ মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে চাইলে এ কমিটির অনুমতি নিবেন। তবে মাঠে জনসভা করার সুযোগ থাকবে না।
এ সময় জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, স্থানীয় কাউন্সিলরবৃন্দ, স্কুল কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন।
ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ লালদিঘী মাঠ নতুনরূপে সাজাতে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাজ শুরু হয়। ২০২১ সালের জুন মাসে ভারি বর্ষণের ফলে পাহাড় সংলগ্ন মাঠের সীমানা দেওয়ালের একাংশ নিচের দিকে ধসে গিয়ে কয়েকটি ম্যুরাল ভেঙ্গে যায়। ফাটল দেখা দেয় দেওয়ালের আরেকটি অংশে। পুনঃসংস্কারের পর চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে শেষ হয় উন্নয়ন কাজ।
প্রকল্পের আওতায় রাতে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাঠে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে দুটি ২০ ফুট প্রস্থের গেট ও একটি ভিআইপি গেট। ১ হাজার ২৫০ বর্গফুট দেওয়ালে তুলে ধরা হয়েছে ১৮টি টেরাকোটার ম্যুরালে মহান মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, গণঅভ্যুত্থান, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বাঙালির গৌরবের ইতিহাস।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর