চসিকে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের বিক্ষোভ

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
৪ দফা দাবিতে প্রধান ফটক অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে টাইগারপাসের চসিক ভবনের মুলফটকে জড়ো হয়ে এ আন্দোলন করেন পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। এসময় চসিক ভবনে অবস্থানরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী আটকে পড়েন ভবনের ভিতরে। এসময় মেয়র রেজাউল করিমও চসিক ভবনের মধ্যে অবস্থান করছিলেন। তবে চসিকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একসপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করার আশ্বাসে আন্দোলন শেষ করেন আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভে পরিচ্ছন্নতা বিভাগের শতাধিক কর্মচারী অংশ নেন।
সেখানে বিক্ষুব্ধ পরিচ্ছন্ন কর্মীরা জানান, ডিজিটাল নিয়মে ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে হাজিরা দিতে হয় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) পরিচ্ছন্ন কর্মীদের। কাজ করতে করতে আঙ্গুলের রেখা উঠে যাওয়ায় প্রায়ই ফিঙ্গার প্রিন্ট কাজ করেনা। তাই উপস্থিত থেকেও অনুপস্থিত দেখানো হয় তাদের। এজন্য কর্তন করা হয় বেতনও। তাই আগের মতো হাজিরা খাতা পুর্নবহালের দাবিতে তারা নগর ভবন ঘেরাও করে।
তবে মেয়রের অবরুদ্ধ থাকার তথ্যটি মিথ্যা দাবি করে মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী আবুল হাশেম বলেন, ‘মেয়র অবরুদ্ধ হননি। তিনি সাধারণভাবেই চসিক ভবনে কাজ করছিলেন। এখনো তিনি চসিক ভবনে অবস্থান করছেন। পরিচ্ছন্ন কর্মীরা বাইরে বিক্ষোভ করেছেন, আমরা সবাই ভেতরে স্বাভাবিক কাজকর্ম করেছি। অবরুদ্ধ থাকার বিষয়টি সঠিক নয়। আর পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের আন্দোলনের বিষয়টি কিছুটা যৌক্তিক। আবার কিছুটা অযৌক্তিক’।
তিনি বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা কাজ করতে করতে অনেক সময় আঙ্গুলের রেখা মুছে যায়। তাই তারা উপস্থিত থেকেও অনুপস্থিত হচ্ছেন। আবার অনেক সময় আমাদের মেশিনটির সমস্যার কারণেও ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া যায়না। তাই এদিক দিয়ে তাদের আন্দোলন যৌক্তিক। আবার এদের অনেকেই আগে হাজির না থেকে একদিন এসে সব স্বাক্ষর দিয়ে যান। এদিক দিয়ে বিষয়টা অযৌক্তিক। তাই আমরা এক সপ্তাহের সময় নিয়েছি। সবার সাথে আলোচনা করে বিষয়টির একটা সমাধান করবো’।
প্রসঙ্গত, প্রতি ওয়ার্ডে বিতর্কিত ডোর টু ডোর প্রকল্পসহ ৪টি বিভাগের কর্মচারীদের জন্য ডিজিটাল হাজিরা চালু করে চসিক। এতে চসিকের ৪১টি ওয়ার্ডে কর্মরত ডোর টু ডোর, পরিচ্ছন্নতা বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ ও সচিবালয় শাখার প্রায় সাড়ে চার হাজার কর্মীর ডিজিটাল হাজিরার আওতায় আসে। আর এই বিষয়টিতেই পরিচ্ছন্ন কর্মীদের আপত্তি। তারা বলছেন, মেশিনের সমস্যার কারণে আমাদের হাজিরা উঠে না। বেতন কাটা হয় মাস শেষে। আমরা রেজিস্টার খাতায় স্বাক্ষর করতে চাই।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর