চট্টগ্রাম-১০ উপনির্বাচনের ভোটকেন্দ্রগুলোতে বসছে ১৪০০ সিসি ক্যামেরা

বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
আগামি ৩০ জুলাই অনুষ্ঠেয় চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে ভোটকেন্দ্রে বসানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরা। এরইমধ্যে ১ হাজার ৪০৭টি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। জানা গেছে, ভোটের দিন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালালে সিসি ক্যামেরা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচনের দিন ভোটকক্ষের পরিস্থিতি মনিটরিং করার লক্ষ্যে ভোটকক্ষের মার্কিং প্রেসের (গোপনকক্ষের) বেষ্টনী কাপড়ে ভোটকেন্দ্র নম্বর ও কক্ষ নম্বর লেখা থাকবে।
যাতে মনিটরিং কক্ষ থেকে সিসি ক্যামেরায় ভোটকেন্দ্র নম্বর ও কক্ষ নম্বর স্পষ্ট বোঝা যায়। এ ভোটকেন্দ্র ও কক্ষ নম্বর দেখেই প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে। এমনকি পরিস্থিতি বিবেচনায় গ্রেফতারের নির্দেশনাও আসতে পারে। এর আগে গাইবান্ধায় নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে ভোটের অনিয়ম ধরেছিল ইসি।
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এ নির্বাচনে মোট ১৫৬টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম এর মাধ্যমে ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এদের মধ্যে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯২৯ জন পুরুষ এবং ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৮০ হন নারী ভোটার।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, ভোটের দিন নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার সম্মেলনকক্ষ থেকে সিসি ক্যামেরায় ভোটকেন্দ্রের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। ভোটকেন্দ্রে কোন প্রার্থী যাতে উত্তাপ ছড়াতে না পারে সেদিকে কঠোর নজরদারি থাকবে।
গত ৮ জুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম নির্বাচনের এ তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ৪ জুলাই, মনোনয়নপত্র বাছাই ছিল ৬ জুলাই, প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয় ১৩ জুলাই।
সিএমপির পাঁচলাইশ, খুলশী, ডবলমুরিং ও পাহাড়তলী থানাধীন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২৪, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে চট্টগ্রাম-১০ আসন। গত তিনটি সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ডা. আফছারুল আমীন এই আসনে টানা তিনবার বিজয়ী হয়েছিলেন। গত ২ জুন আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর