বলিউডের মাদকচক্র চালানো হয় মুম্বাইয়ের জেল থেকে?

বিনোদন ডেস্ক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর রহস্য বের করতে গিয়েই বদলে গেছে গোটা বলিউডের চিত্র।  সিবিআই সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত শুরু করার পর অনেক তথ্যের মতো বলিউডের মাদকচক্র ও মাদকযোগ সামনে এসেছে।
এনসিবি সেই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকা সন্দেহে দীপিকা পাড়ুকোন, শ্রদ্ধা কাপুর, সারা আলি খানসহ অনেককেই জেরা করেছে।  সেই চক্রে আছে সুশান্তের সর্বশেষ প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী ও তার ভাই শৌভিকও।  আপাতত জেলেই আছেন রিয়া ও শৌভিক।  বার বার জামিনের আবেদন করেও জামিন পাননি তারা।  তবে শুধু রিয়া বা শৌভিকই নয়; বলিউডের অনেকেরই রয়েছে মাদক যোগ।  গোটা বলিটাউনে জালের মতো বিছিয়ে আছে মাদকচক্র।
এই বলিটাউনের মাদকচক্র চালানো হয় মুম্বাইয়ের জেল থেকে।  হ্যাঁ, এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য খুঁজে পেয়েছে এনসিবি।  এনসিবি জানিয়েছে, ২০১৯ সালে মাদককাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে গ্রেফতার করা হয় জামশাদ আলি মালিককে।  সে কেরলের কুখ্যাত এলাকায় বড় হয়েছে।  সেখান থেকে মুম্বইতে এসে ড্রাগের ব্যবসা ফেঁদে বসেছিল।  ভীষণ ফ্যাশন প্রিয় এবং অনেক টাকার মালিক এই জামশাদ।  কিন্তু যে সময় বলিউডের ড্রাগ-যোগ সামনে আসতে শুরু করে তখন সে জেলেই।  তাই প্রথমেই তাকে সন্দেহ না করা হলেও এনসিবি খবর নিতে শুরু করে।  জেরাও করা হয় তাকে।  এর পরই সামনে আসে এক অন্য তথ্য।
জেলে বসেই দামি ফোনের সাহায্যে এই ড্রাগচক্র পরিচালনা করছিল সে।  বলিটাউনের যেখানে যা ড্রাগ বিক্রি হয় তার মাথা এই জামশাদ।  পুলিশের চোখের আড়ালে কীভাবে এই ব্যবসা চালাচ্ছিল সে- সে সব খোঁজ চালাচ্ছে এনসিবি।  জামশাদের সঙ্গে বলিউডের মডেল থেকে নামকরা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের যোগ ছিলো।  জামশাদই মাদক পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করত জেলে বসেই।  কোকেইন আর চরস সব থেকে বেশি বিক্রি হতো।  জেলে বসেই সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে এই কোটি টাকার ব্যাবসা চালাচ্ছিল সে?  এর পেছনে আর কোনো বড় মাথা রয়েছে!  এবং বলিউডের কোন কোন তারকার সঙ্গে তার যোগ ছিলো- এই সব কিছু খতিয়ে দেখছে এনসিবি।  রিয়া, শৌভিকের সঙ্গে জামশাদের যোগ আছে কিনা তাও তদন্ত করা হচ্ছে।  দীপিকা, শ্রদ্ধা, করিশ্মা, রাকুল- এরা কোথা থেকে মাদক কিনতেন, তাও তদন্ত করা হচ্ছে।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ