লকডাউনেও খোলা থাকছে সিনেমা হল!

বিনোদন ডেস্ক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
করোনা সংক্রামণের হার বেড়ে যাওয়ায় এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।  এই সময়ে সিনেমা হল খোলা রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি।  সিনেমা হল বন্ধের বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয় হল মালিকদের এই সংগঠন।
লকডাউনে গণপরিবহন চলাচল বন্ধের পাশাপাশি বাজার-মার্কেট, হোটেল-রোস্তোরাঁসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধের প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও সেখানে সিনেমা হল ও চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (চলচ্চিত্র-১) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, সিনেমা হল বন্ধ করা হবে কিনা সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল জানান, সরকার থেকে আমরা হল বন্ধের নির্দেশনা পেলে সিনেমা হল বন্ধ রাখবো।  সরকারের সিদ্ধান্তের বাইরে কখনোই যাবো না।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় লকডাউনে হলে ছবি প্রদর্শন করা হবে বলে জানান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন।  তিনি বলেন, সরকার হল বন্ধের নির্দেশনা দিলে আমরা বন্ধ করব।  এখনো যেহেতু কোনো নির্দেশনা নেই সেকারণে বন্ধ করতে চাচ্ছি না।
হল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস জানান, গত বছরের ১৬ অক্টোবর থেকে অর্ধেক আসন খালি রাখার শর্তে হল খোলার অনুমতি দিয়েছিল সরকার।  এখনো সেই নিয়মেই সিনেমা হল চলবে, সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধির প্রতি জোর দেয়া হবে।
নাম না প্রকাশের শর্তে এক হল মালিক বলেন, সিনেমা হলের ৫০ ভাগ আসন তো অনেক; মহামারির মধ্যে হল খোলার পর থেকে ১০ ভাগ দর্শকও আমরা পাইনি।
এদিকে চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের বিষয়ে প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু জানান, শুটিং বন্ধের বিষয়ে সরকারি কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় লকডাউনেও চলচ্চিত্রের শুটিং চলবে।  পরবর্তী নির্দেশনা পেলে তা বাস্তবায়ন করা হবে।  স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিং করার জন্য চলচ্চিত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করব আমরা।
উল্লেখ্য, দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে প্রায় সাত মাসের জন্য দেশের সব সিনেমা হল বন্ধ ছিল।  সরকার অক্টোবরে সিনেমা হল খোলার অনুমতি দিলেও বলাকা, মধুমিতাসহ বেশ কয়েকটি সিনেমা হল এখনো খোলেনি।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ