জরুরি ভিত্তিতে দেশে বায়ো সেন্টার খুব প্রয়োজন

কাপ্তাই প্রতিনিধি >>>
বাংলাদেশে এখনো কোনো বায়ো সেন্টার নেই।  উপকারী জীবাণু দ্বারা উৎপাদিত জৈব সার কৃষকের মাঠে ছড়ানোর জন্য বাংলাদেশে জরুরি ভিত্তিতে বায়ো সেন্টার খুব প্রয়োজন।  বায়ো সেন্টার হলে কৃষক যেমন লাভবান হবে, তেমনি সরকারের সুনামের পাশাপাশি রাজস্বও বাড়বে।
আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র হাটহাজারীর বাস্তবায়নে সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ‘উপকারী নভেল বেসিলাস ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা উৎপাদিত জৈব সার ব্যবহার করে বেগুনের ঢলে পড়া রোগ নিয়ন্ত্রণের প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও বিস্তার’ শীর্ষক এক সেমিনারে কৃষি বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।  মঙ্গলবার (২১ জুলাই) পার্বত্য জেলা রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের রাইখালীতে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।  রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত এতে চট্টগ্রামস্থ পাহাড়তলি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হারুনুর রশিদ প্রধান অতিথি হিসাবে সেমিনারের উদ্বোধন করেন।  কাপ্তাইয়ের রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলতাফ হোসেন এতে সভাপতিত্ব করেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন হাটহাজারী আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস এম ফয়সল, কাপ্তাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সামসুল আলম চৌধুরী, কাপ্তাই উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা তাহমিনা আরজু।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধে হাটহাজারী আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বাংলাদেশে এখনো কোনো বায়ো সেন্টার নেই। উপকারী জীবাণু দ্বারা উৎপাদিত জৈব সার কৃষকের মাঠে ছড়ানোর জন্য বাংলাদেশে জরুরি ভিত্তিতে বায়ো সেন্টার খুব প্রয়োজন।  বায়ো সেন্টার হলে কৃষক যেমন লাভবান হবে, তেমনি সরকারের সুনামের পাশাপাশি রাজস্বও আসবে।  তিনি বলেন, উপকারী নভেল বেসিলাস ব্যাকটেরিয়া দ্বারা বেগুনের ঢলে পড়া রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।  ইতোমধ্যে এই জৈব উদ্ভাবনে দেশে প্রাথমিক সাফল্য পাওয়া গেছে।  এ নিয়ে আরো গবেষণা চলছে।  তবে এই জৈব বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করা সম্ভব হলে সরকার বিপুল রাজস্ব আয় করতে পারবে।
সেমিনারে সার্বিক সহযোগিতা করেন রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মহিদুল ইসলাম। এতে বিভিন্ন গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, কাপ্তাই, রাজস্থলী, রাঙ্গুনীয়া ও কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষক, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, উপ-সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, হেডম্যান এবং প্রিন্ট-ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশ নেন।

ডিসি/এসআইকে/এমএ