পর্যটকশূন্য কক্সবাজার

ছবির উৎস ইন্টারনেট।

কক্সবাজার প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে হঠাৎ করেই পর্যটকদের আনাগোনা কমে গেছে।  এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।  তাদের ধারণা- করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাবে পর্যটকরা কক্সবাজার ভ্রমণ থেকে বিরত থাকছেন।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হোছাইন বাহাদুর জানান, শুধু কক্সবাজার সমুদ্র সৌকত নয়, জেলার অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রেও নেই পর্যটকের ভিড়।  হিমছড়ি, ইনানী, রামু বৌদ্ধমন্দির ও বিহার, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক ও মহেশখালীর মৈনাক পর্বতের চূড়ায় অবস্থিত আদিনাথ মন্দিরেও পর্যটকের তেমন উপস্থিতি নেই।
কক্সবাজার হোটেল-গেস্ট হাউজ-রেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সভাপতি ওমর সুলতান জানান, কক্সবাজারের সাড়ে পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল।  অধিকাংশই এখন প্রায় খালি পড়ে আছে।  অথচ এটা পর্যটনের প্রধান মৌসুম। করোনার আগের বছরগুলোতে এ সময় পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকত।
এদিকে, যাত্রী স্বল্পতার কারণে যাত্রা বাতিল করে দিয়েছে কক্সবাজার-সেন্টমর্টিন নৌরুটের বিলাসবহুল প্রমোদ তরী বে-ওয়ান ক্রুজ।  আরেক বিলাসবহুল জাহাজ কর্ণফুলী এক্সপ্রেসও চলছে ঢিলেঢালাভাবে।  সাড়ে ৭০০ জন যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন জাহাজটিতে এখন যাত্রী হচ্ছে ২০০-২৫০ জন।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হোসেন জানান, স্বল্পসংখ্যক পর্যটকের আসা-যাওয়া থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে তারা একেবারে উদাসীন।  যা করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানান, করোনার প্রকোপ রোধে নাগরিক ও পর্যটকদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।  এ বিষয়ে একাধিক মোবাইল কোর্ট মাঠে রয়েছে।  এ কারণে পর্যটকদের যাতায়াতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো বিধি-নিষেধ নেই।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি জিল্লুর রহমান জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।  একই সঙ্গে মাস্ক ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পর্যটকদের উদ্দেশ্যে মাইকিং করা হচ্ছে।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর