সমঝোতা মানেন না লস্করপুরের চা শ্রমিকরা, ফের রাস্তায়

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
দৈনিক মজুরি ২৫ টাকা বাড়িয়ে যে সমঝোতা হয়েছে, সেটি প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে চা শ্রমিকরা।  তারা বলছে, নেতারা এটা মানলেও তারা দৈনিক মজুরি ৩০০ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে টানা আট দিন ধরে কর্মবিরতিতে চা শ্রমিকরা।  অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও শ্রম অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।  তবে চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা বিষয়টি মেনে চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছেন সাধারণ শ্রমিকরা।
হবিগঞ্জের লস্করপুর ভ্যালির ২৪টি চা বাগানের শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন, তারা চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন।  সেই সঙ্গে ভ্যালির নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
লস্করপুর ভ্যালির সাধারণ সম্পাদক অনুরুদ্ধ বাড়াইক বলেন, ‘চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই ১৪৫ টাকা মজুরিতে স্বাক্ষর করেছে।  আমরা এই চুক্তি প্রত্যাখ্যান করছি।  আমরা আমাদের কর্মবিরতি চালিয়ে যাব।  রাতে আমরা আমাদের ভ্যালির নেতাদের নিয়ে আলোচনায় বসে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা দেব’।
বাংলাদেশ চা কন্যা নারী সংগঠনের সভাপতি খায়রুন আক্তার বলেন, ‘আমাদের দালাল নেতারা ১৪৫ টাকা মজুরিতে স্বাক্ষর করেছে।  তারা আমাদের কষ্ট কি বুঝবে।  আমরা খেয়ে না খেয়ে ১২ দিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছি।  এখন তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই ১৪৫ টাকা মজুরিতে স্বাক্ষর করেছে।  আমরা এই চুক্তি প্রত্যাখ্যান করছি।  সেই সঙ্গে দালাল নেতাদের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানাই’।
হবিগঞ্জে চা বাগানের সংখ্যা ৪২টি।  লস্করপুর ভ্যালিতে শ্রমিকের সংখ্যা ৩৫ হাজার।  এর মধ্যে স্থায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ২৭ হাজার।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ