দুর্নীতি-অনিয়ম : ২০১৯ সালে ২৯ ট্রাভেল এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল

ঢাকা ব্যুরো

সদ্য বিদায় নেয়া ২০১৯ সালে ২৯টি ট্রাভেল এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। রবিবার (৫ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। হজ কার্যক্রমে নানা ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম, হজযাত্রীদের থেকে বেশি বিমান ভাড়া আদায় এবং অপ্রয়োজনীয় টিকিং বুকিং দেওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতির দায়ে বাতিল হয়েছে ১৬টি এজেন্সির লাইসেন্স। সেগুলো হলো— কুমিল্লার হাবিব এয়ার ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, ফেনীর কাজী ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, ঢাকার সারা এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, আল মুজদালিফা এভিয়েশন, কে আলম ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, ট্রাইটন ওভারসিজ, সিয়াম ওভারসিজ, সুবহা ইন্টারন্যাশনাল, সৌদি বাংলা এয়ার সার্ভিস লিমিটেড, আল ফাইন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, মাহির হজ সার্ভিস অ্যান্ড ট্যুরস, আবাবিল ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, সুপার খিদমাহ ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, চট্টগ্রামের মামুন ট্রাভেলস লিমিটেড, আল সাফা এয়ার ট্রাভেলস এবং আল হারামাইন ট্রাভেলস।

হজযাত্রীদের থেকে নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশে বাতিল হয় ৫ টির লাইসেন্স। সেগুলো হলো- হাসেম এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, গোল্ডেন বেঙ্গল ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, আল গাজী ট্রাভেলস লি., চ্যালেঞ্জার ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস লি. এবং সানশাইন এক্সপ্রেস ট্রাভেল এনকরপোরেশন।

অপ্রয়োজনীয় বুকিং এবং তা বাতিলের মাধ্যমে প্রতারণায় ৮টি ট্রাভেল এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল হয়। সেগুলো হলো- ঢাকার মাদারল্যান্ড ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, সামস এয়ার ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, মুনা ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস লি., ট্রাভেল সেন্টার, চট্টগ্রামের চৌধুরী ইন্টারন্যাশনাল, ঊর্মি ট্রাভেলস এজেন্সি, দারুল ইমান ইন্টারন্যাশনাল এবং ফেনীর বিপ্লব ইন্টারন্যাশনাল।

সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বৈঠকে হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর ও হাতিয়ায় ছোট রেস্ট হাউস নির্মাণসহ পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলা, কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে ব্যক্তি মালিকানার উদ্যোগে পেশ করা প্রস্তাবগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে জানানো হয়, নোয়াখালীর হাতিয়া ও নিঝুম দ্বীপে ৪৯.৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে পর্যটকদের জন্য রেস্তোরাঁ, কটেজ, ক্রুজ ভেসেল সংগ্রহসহ পর্যটন সুবিধা সৃষ্টির জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, তানভীর ইমাম এবং সৈয়দা রুবিনা আক্তার অংশ নেন।

 

ডিসি/এসআইকে/দৈচ-ডে