মুজিববর্ষ : রেমিট্যান্স ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ানোর প্রত্যাশা

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা মুজিববর্ষে রেমিট্যান্স বাড়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। ২০২০ সালকে মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। এই বছর প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এই সচিব।

রবিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রিপোর্টার্স ফর বাংলদেশি মাইগ্রেন্ট (আরবিএম) আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এই আশা ব্যক্ত করেন সচিব। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক শামসুল আলম, রিপোর্টার্স ফর বাংলাদেশি মাইগ্রেন্টস (আরবিএম)-এর সভাপতি ফিরোজ মান্না, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল হক প্রমুখ।

সচিব বলেন, ২০১৯ সালে প্রবাসীদের প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি, যা ২০১৮ সালের তুলনায় ১৬ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। সরকার রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা যায়। গত অর্থবছরে জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ৬.২৮ বিলিয়ন ডলার। আর চলমান অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এর পরিমাণ ৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের তুলনায় প্রাপ্ত রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২২ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালে ৭ লাখ ১ হাজার কর্মীর বৈদেশিক কর্মসংস্থান হয়েছে উল্লেখ করে সচিব বলেন, এই সংখ্যা মন্ত্রণালয় যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল তার তুলনায় প্রায় ৫১ হাজার বেশি। মন্ত্রণালয়ের এ বছর কর্মী পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে ৬ লাখ। বিদেশে কর্মসংস্থানের জেলাভিত্তিক বিশ্লেষণে শীর্ষ পাঁচ জেলা হচ্ছে, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইল ও ঢাকা। সর্বোচ্চ সংখ্যক কর্মী গেছেন সৌদি আরব। এরপর গেছে ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুরে। মোট কর্মসংস্থানের মধ্যে দক্ষ কর্মী ছিল ৪৪ শতাংশ ও আধা দক্ষ ২০ শতাংশ। নারীকর্মীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১১ হাজার। বিদেশগামী নারী কর্মীদের সামাজিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ বিধবা ও বৈবাহিক সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়েছে এমন নারী ছিলেন ২০ শতাংশ। তাই তাদের পারিবারিক ও ব্যক্তিগত অবস্থার উন্নয়নে মন্ত্রণালয় নারীকর্মীদের অভিবাসনকে অধিকতর সুরক্ষা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

ডিসি/এসআইকে/অবাডে