দেশের ৮০% মানুষ ২০৪১ সালের মধ্যে শহরে বাস করবে

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ নগরে বসবাস করবে। জনসংখ্যার অতিরিক্ত চাপ দুর্যোগ ঝুঁকি আরও বাড়াবে। দ্রুত নগরায়ণের এই প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে রাজধানীতে। ঢাকার দুর্যোগ মোকাবিলায় এটি বড় বাধা হতে পারে। এ জন্য পরিকল্পিত নগরায়ণ জরুরি।
গত শনিবার রাজধানীর প্ল্যানার্স টারয়ারে ‘নগর দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে করণীয় : প্রেক্ষিত ঢাকা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব তথ্য তুলে ধরেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউটব অব প্ল্যানার্স (বিআইপি), রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
দুর্যোগ মোকাবিলায় বিআইপির পক্ষ থেকে আটটি পরামর্শ দেওয়া হয়। এর মধ্যে জলাধার সংরক্ষণ, বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ভবন নির্মাণ, ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ) সঠিক বাস্তবায়ন, পেশাজীবী নিবন্ধন চালু ও ভবনের বিভিন্ন ধরনের নকশার সঠিক বাস্তবায়ন উল্লেখযোগ্য।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে প্রতিবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগে ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। রাজধানীর ৭৩ শতাংশ ভবন অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত হয়েছে। এটা উদ্বেগের বিষয়। তবে ড্যাপের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে আরও কঠোর হতে হবে। দেশের পুকুর, পার্ক, জলাধার ও উন্মুক্ত স্থান সংরক্ষণ করতে হবে।
গণপূর্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন বলেন, শহরকে সঠিক উপায়ে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে রাজউক। ছয় ফুট রাস্তা থাকলেই ভবন করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে ভবন মালিককে ২০ ফুট রাস্তার জমি সিটি করপোরেশনকে বুঝিয়ে দিয়ে ভবন তৈরির অনুমোদন নিতে হবে। রাজউক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত ৭৩ শতাংশ ভবন যাচাইয়ে তৃতীয়পক্ষকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। নতুন নির্মিত ভবন রাজউক নিয়মিত মনিটর করবে।
বিআইপির সভাপতি শেখ ফজলে রেজা সুমনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল-মামুন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ট্রেনিং কমপ্লেক্সের অধ্যক্ষ ছালেহ উদ্দিন, জাইকার সিনিয়র রিপ্রেজেন্টেটিভ মারি মিউরা, নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি অমিতোষ পাল প্রমুখ বক্তব্য দেন। বিআইপির সাধারণ সম্পাদক শেখ মেহেদী হাসান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ