এখনো মার্চের বেতন পায়নি প্রায় ১৪ হাজার পোশাক কারখানার শ্রমিক

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
এপ্রিলের মাঝামাঝি চলে এলেও এখনো মার্চ মাসের বেতন-ভাতাই পাননি প্রায় ১৪ হাজার কারখানার শ্রমিক। দেশের ২২৭৪ টি তৈরি পোশাক শিল্প-কারখানার মধ্যে ৯১৭ টির মালিকরা তাদের সাড়ে ১৬ লাখ শ্রমিকের মার্চ মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধ করেছেন। তবে এখনো ১৩৫৭ কারখানার শ্রমিক বেতন-ভাতা পাননি বলে জানা গেছে। সোমবার (১৩ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
সংগঠনটির তথ্যমতে, ২ হাজার ২৭৪ কারখানার মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ১২৪ কারখানা, গাজীপুরের ৩৫৯ কারখানা, নারায়ণগঞ্জ এলাকার ৮২, সাভার ২০৭, চট্টগ্রামের ১১৪ এবং প্রত্যন্ত এলাকার ৪২ গার্মেন্টসের মধ্যে ৯১৭টি গার্মেন্টসের মালিকরা মোট ১৬ লাখ ৫০ হাজার ৬০০ শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করেছেন। তবে সোমবার পর্যন্ত ১৩৫৭টি কারখানার শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে পারেনি মালিকরা।
বিজিএমইএ’র সভাপতি রুবানা হক আশা প্রকাশ করে বলেন, ১৬ এপ্রিলের মধ্যে সব কারখানা মালিকরা তাদের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করবেন।
চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে শ্রমিকদের মার্চের বেতন ১৬ এপ্রিলের মধ্যে পরিশোধ না করলে সংশ্লিষ্ট মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। সোমবার (১৩ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে শ্রম প্রতিমন্ত্রী কারখানা মালিকদের বেতন পরিশোধের নির্দেশনা দেন। বিবৃতিতে সব শিল্প কলকারখানার শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন ১৬ এপ্রিলের মধ্যেই পরিশোধের জন্য মালিকদের প্রতি নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, এ নির্দেশ না মানলে বা উক্ত তারিখের মধ্যে বেতন প্রদানে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতার কথা মাথায় রেখে সরকারি নির্দেশনা মেনে শ্রমিকদের ঘরে থাকার আহ্বান জানান ।
জানা গেছে, শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে যাতে কারখানায় জনসমাগম না ঘটে সে জন্য প্রতিটি শ্রমিককে মোবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ, নগদ, রকেট) অ্যাকাউন্ট খুলতে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এছাড়াও যারা এই সময়ের মধ্যে অ্যাকাউন্ট খুলতে না পারবে তাদের কারখানার মালিক কর্তৃপক্ষ তাদের অ্যাকাউন্ট খুলে দিতে নির্দেশ দেয়া হয়। এই অ্যাকাউন্ট খুলতে কোনো ধরণের চার্জ না কাটারও নির্দেশনা দেয় সরকার।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ