বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র, বাস্তবায়নে কাজ করে যাব : জন কিরবি

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক সেটা চায় যুক্তরাষ্ট্র এবং তা বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে দেশটি। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগবিষয়ক সমন্বয়কারী জন কিরবি এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান। এ সময় তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে বলে যে অভিযোগ রাশিয়া করেছে তা প্রোপাগান্ডা।
জন কিরবিকে প্রশ্ন করা হয়, মস্কো সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। আপনি জানেন, রাষ্ট্রদূত পিটার হাস (বাংলাদেশে) অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিতের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও অন্যান্য অংশীদারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তিনি বাংলাদেশে তাঁর নিরাপত্তায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কারণ তিনি বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে সহিংস বক্তব্যের সম্মুখীন হচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে রাশিয়া ও বাংলাদেশে তাঁর (পিটার হাস) নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
জবাবে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগবিষয়ক সমন্বয়কারী বলেন, ‘আমি আপনাকে বলতে চাই যে, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং রাশিয়ানরাও জানে যে এটি মিথ্যা। এটি কেবল উন্নতমানের রুশ প্রোপাগান্ডা। বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, আমরাও তা-ই চাই এবং তা হলো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন’।
জন কিরবি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত (পিটার হাস) ও তাঁর টিম আগে যেভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক সেইভাবে তাঁরা বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ, বিরোধী দল, সরকারসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবেন। বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক প্রত্যাশা পূরণে এবং দেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে যেন সম্মান করা হয়, তা নিশ্চিতে তাঁদের কঠোর পরিশ্রম অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশে আমরা সেটাই করে যাচ্ছি’।
অপর এক প্রশ্নে জন কিরবির কাছে জানতে চাওয়া হয়, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশের স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন করার বিষয়ে একই পক্ষে রয়েছে ভারত, চীন ও রাশিয়া। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারও আরেকটি একতরফা নির্বাচন আয়োজনে বিরোধীদের ওপর ক্র্যাকডাউন ও তাদের জেলে ঢোকানোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আপনারা কি আপনাদের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন; যেমনটা আপনি আগে বলছিলেন যে আপনারা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবেন?
এ বিষয়ে জন কিরবি বলেন, ‘বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক সেটা আমাদের চাওয়া এবং তা বাস্তবায়নে আমরা কাজ চালিয়ে যাব। অন্য কোনো দেশের নির্বাচনে আমরা কোনো পক্ষ নিই না। বাংলাদেশের নির্বাচনের ক্ষেত্রেও এই নীতির পরিবর্তন আসবে না। আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সমর্থন করি। আমরা সেই চেষ্টা অব্যাহত রাখব। রাষ্ট্রদূত (পিটার হাস) এবং তাঁর টিমও বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক প্রত্যাশার দাবি পূরণে যা করার দরকার তা করবেন’।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ